ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সরকার আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২০
সরকার আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে: পলক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা: সরকার আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সরকারের নীতিগত সহায়তা, সক্ষমতা তৈরি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলেই এমনটা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।


 
বুধবার (৭ অক্টোবর) আইসিটি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্প এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আইটি-আইটিইএস খাতের ব্যবস্থাপনা পেশাজীবীদের জন্য ‘অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেশন ফর ম্যানেজমেন্ট প্রোফেশনাল (এসিএমপি) ৪.০ গ্রীষ্মকালিন ২০২০’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ করা হয়। ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই সনদ বিতরণ করা হয়।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পলিসি সাপোর্ট, সক্ষমতা তৈরি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন একটি আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের দ্বারপ্রান্তে। এ তিনটি খাতে অগ্রগতির কারণেই কোভিড-১৯ মহামারিকালে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অনলাইনে। পলিসি সাপোর্টের কারণেই আজ দেশে আইসিটি শিল্পের প্রসার ঘটছে। দেশেই  উৎপাদিত হচ্ছে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন। সক্ষমতা তৈরি করা হচ্ছে দেশেই। যার প্রমাণ আজকের এই এসিএমপি ৪.০ কোর্সে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ। বিদেশ গিয়ে এই প্রশিক্ষণ নিতে ১০ গুণ বেশি খরচ হতো, কিন্তু সেই প্রশিক্ষণ আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় দেশেই করা সম্ভব হচ্ছে।
 
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় একটি শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো তৈরি হয়েছিল বলেই আজ করোনাকালীন প্রায় সব কার্যক্রমই স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছে।
 
২০৭ জন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে পলক বলেন, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে বিদেশ থেকে ম্যানেজার পর্যায়ের লোক এনে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়। অথচ এসব কাজে দেশেই প্রশিক্ষণ দিয়ে এই পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের কর্মকর্তারা। এসব কর্মকর্তাদের জন্য যদি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তারা নিজ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দ্রুত বিকাশ ঘটাবে। এমন চিন্তা থেকেই এসিএমপি ৪.০ কোর্স চালু করা হয়।
 
আইবিএ’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসি এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম ও আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, অগমেডিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ নোমান, আইবিএ’র এমডিপি সমন্বয়ক ড. শাকিলা ইয়াসমিন।
 
এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে তিনমাস ব্যাপী এসিএমপি ৪.০ কোর্স চালু করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে এ পর্যন্ত মোট ৮৪৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ২০৭ জনকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২০
এসএইচএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।