ঢাকা: মাইক্রোসফট প্রদত্ত সাউথ ইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস পার্টনারস অ্যাওয়ার্ড ২০২০-এ পুরস্কৃত হয়েছে বাংলাদেশের ই-জেনারেশন। অ্যাওয়ার্ডের তিনটি ক্যাটাগরিতে সেরা পার্টনার হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ই-জেনারেশন।
সোমবার (১২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করে ই-জেনারেশন। এতে বলা হয়, ওয়ার্কপ্লেস সিকিউরিটি পার্টনার অফ দ্য ইয়ার, এসএপি অন অ্যাজিওর পার্টনার অফ দ্য ইয়ার এবং মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস টিমওয়ার্ক পার্টনার অফ দ্য ইয়ার; এই তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয় ই-জেনারেশন। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয় মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে।
কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, দলের মধ্যে সহযোগিতা, বিশ্লেষণ ও ক্লাউড সল্যুউশনের মাধ্যমে ব্যবসাক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন উদ্যোগে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং ব্যতিক্রমী গ্রাহকসেবার সফল প্রয়োগে ই-জেনারেশন এর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
ই-জেনারেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দা কামরুন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, এই সন্মাননা চলতি বছরের মহামারির মধ্যেও ই-জেনারেশন টিমের দলীয় প্রচেষ্টা এবং কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি। ই-জেনারেশন টিম এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ের মাঝেও মাইক্রোসফটের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিক কর্মক্ষেত্র তৈরি এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক সেবা যেমন সিকিউরিটি, এনালিটিক্স এবং ক্লাউড সলুশন জাতীয় সেবাসমূহ প্রদান করে আসছে।
ই-জেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান বলেন, ২০২০ সালে আমাদের জীবনযাপন এবং দৈনন্দিন কাজ করার পদ্ধতিতে প্রযুক্তি এক অন্যতম মৌলিক চাহিদা হয়ে উঠেছে। একইসাথে দেশের অর্থনীতি টিকে থাকার পথও নির্ধারণ করে দিচ্ছে প্রযুক্তি।
আমাদের গ্রাহকেরা ই-জেনারেশন এর সহযোগিতায় তাদের প্রযুক্তিগত রূপান্তরকে দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে যা আমাদের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি দুই থেকে তিন’শ শতাংশেরও বেশি বাড়াতে পারে। মাইক্রোসফটের সাথে যৌথভাবে আমরা গভটেক, হেলথটেক এবং ফিনটেক সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে গুরুত্বারোপ করছি।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই এবং নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, এই বছর পরিকল্পনা হল ডিজিটাল রুপান্তরকরণের ধারা অব্যাহত রাখা এবং এর মাধ্যমে আগামী বছরগুলিতে বৈশ্বিক মহামারি দ্বারা সৃষ্ট শূন্যস্থান পূরণ করা। আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে, নীতিমালা গঠনে সরকারকে আরও সহযোগিতা করতে, দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে এবং নাগরিকদের কর্মসংস্থান আরও বাড়িয়ে তুলতে চাই। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা ই-জেনারেশনের মতো অংশীদারদেরকে পাশে চাই যারা বছরের পর বছর ধরে তাদের কৃতিত্বের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
এসএইচএস/এমকেআর