ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে কোরিয়া-বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে কোরিয়া-বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লি জাং-কেউনসহ অন্যরা

ঢাকা: ডিজিটাল ইকোনমি ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লি জাং-কেউন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন রাষ্ট্রদূত ও প্রতিমন্ত্রী।  

রাষ্ট্রদূত জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা ও ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোরিয়া সুবিধার্থীর (ফ্যাসিলিটেটর) ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে বৈঠককালে তারা দু’দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে আইসিটি খাতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক কালিয়াকৈরে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির ভবন নির্মাণ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার, ন্যাশনাল ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব, ইমারজেন্সি রেসপন্স প্ল্যাটফর্ম, ন্যাশনাল সার্ট ও সাইবার সিকিউরিটি ট্রেনিং সিমুলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাকরণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।  

এছাড়া আইসিটি প্রতিমন্ত্রী তৃণমূল পর্যায়ে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফ্রন্টইয়ার টেকনোলজি, স্কুল অব ফিউচার, আইসিটি সেক্টরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া, স্টার্টআপ প্রকল্পসহ আইসিটি সেক্টরের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের কাছে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।  

এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণীত হয়েছে। এর মাধ্যমে ই-গভর্নমেন্টে বাংলাদেশ অনেকটুকু এগিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মাধ্যমে উক্ত এলাকার নাগরিকরা ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সুবিধা পাচ্ছে।  

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া মডেল অনুসরণ করে কোভিড-১৯ মহামারির পরবর্তী সময়ে কীভাবে উপকৃত হওয়া যায় সে বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন পলক।  

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষিণ কোরিয়া সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। এতে দু’দেশ যৌথভাবে কাজ করলে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিম, বাংলাদেশে নিযুক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত কিম চেওল সং, বাংলাদেশে নিযুক্ত ‘কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর হিয়ন জিন জু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
এসএইচএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।