ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে

ঢাকা: স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ, ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং, পলিসি সহায়তা ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ‘রূপকল্প২০৪১’ বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করবে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সভাপতি রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বে বেসিসের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে যৌথ সম্মতি প্রকাশ করা হয়।


 
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মাত্র ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বেসিস। আর সরকার প্রয়োজনীয় পলিসি সহায়তার মাধ্যমে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য ঘোষণার মাধ্যমে এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বেসিসকে সঙ্গে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, নীতিমালা তৈরি ও সংশোধন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং সমন্বয় এই পাঁচটি বিষয়ে কাজ করা হবে। এছাড়াও অর্থমন্ত্রীর কাছে কর্পোরেট ট্যাক্স মওকুফের সময়সীমা ২০৩০ পর্যন্ত বাড়ানো দাবি জানানো হবে।
 
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে বিষয়ভিত্তিক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বেসিসের সমন্বয়ে আলাদা আলাদা ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সমন্বিত এসব উদ্যোগের মাধ্যমেই ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘ইনোভেটিভ বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।

মতবিনিময় সভায় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এতটাই গুরুত্ব দেন যে তানা চাইতেই এই খাতের জন্য সহায়ক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বছরের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে সরকার ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিসসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাত অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের জন্য এটি একদিকে যেমন সুযোগ ও সম্ভাবনা, তেমনিভাবে এটি একটি গুরুদায়িত্ব। আমরা সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে সেই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করব।
 
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আমীন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী, এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ও উপ-সচিব ড. মো. মেহেদী হাসান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরি হিমিকা, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, তানভীর হোসেন খান, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও রাশাদ কবির প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৯২৩ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।