ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বয়োজ্যেষ্ঠদের ডিজিটাল জীবনযাত্রা নিশ্চিত করুন: বিটিআরসি চেয়ারম্যান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
বয়োজ্যেষ্ঠদের ডিজিটাল জীবনযাত্রা নিশ্চিত করুন: বিটিআরসি চেয়ারম্যান বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার -ফাইল ছবি

ঢাকা: বয়োজ্যেষ্ঠদের স্বাস্থ্যসম্মত বার্ধক্য এবং উন্নত ডিজিটাল জীবনযাত্রা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।

রোববার (২৯ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনাতয়নে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস-২০২২ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে ৬৫ বছরের ওপরে জনসংখ্যার হার ৬ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মানুষের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ এবং ১৪ বছেরর নিচে ২৬ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের বয়োজ্যেষ্ঠরা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন। এজন্য সরকার, টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানকারী, একাডেমিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বয়োজ্যেষ্ঠদের স্বাস্থ্যসম্মত বার্ধক্য এবং উন্নত ডিজিটাল জীবনযাত্রা নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে।

‘বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্যসম্মত বার্ধক্যের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবছরও ১৭ মে দেশে দেশে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২২’ উদযাপন হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একটি ‘রোড শো’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিটিসিএল, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, ডাক অধিদপ্তর, মোবাইল অপারেটর, মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এনটিটিএন অপারেটর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, আইএসপিএবি, আইসিএক্স অপারেটর, আইআইজি অপারেটরসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

 

দিবসের প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা করেন বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন। তিনি বলেন, দেশে ২০০০ সালে ৬৫ বছর ও তার ওপরের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৩.৮৫ শতাংশ, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫.২৩ শতাংশে। আইটিইউ এর তথ্য অনুযায়ী ২০৫০ সালে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের সংখ্যা হবে এর দ্বিগুণ।

তিনি আরও বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের কর্মক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য অনলাইন পোর্টাল তৈরি করতে হবে, যেখানে বয়োজ্যেষ্ঠরা পছন্দের কাজ খুঁজে পাবেন, ই-কমার্স এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন এবং অনলাইনে টেলিমেডিসিন সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যাতে স্বতঃস্পূর্তভাবে ব্যবহার করতে পারেন সে ব্যবস্থাও তৈরি করে দিতে হবে।

প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম। তিনি বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়লেও বাংলাদেশ ২০৩১ সাল পর্যন্ত ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশ এর সুবিধা ভোগ করবে। তাই কর্মক্ষম মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে এবং প্রবীণদের জন্য প্রযুক্তির সব সুযোগ সুবিধা যাতে কাজে লাগানো যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিটিআরসি কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকার ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন কমিশনের সিস্টেমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ২৯ মে, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।