টোকিও: জাপানের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার চীনকে ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি দায়িত্বশীল সদস্যের মত আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে বেইজিং এর প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং নৌ কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
তিন সপ্তাহ আগে পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপের কাছে নৌ কর্মকান্ডের জের ধরে এশিয়ার শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে চলমান বিরোধের সময় নাওতো কান এ মন্তব্য করলেন।
কান বলেন, ‘কোনো ধরনের স্বচ্ছতা ছাড়াই চীনের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করা এবং ভারত মহাসাগরের পূর্ব চীন সাগরে তাদের কর্মকান্ড বাড়ানো নিয়ে আমরা উদ্যোগ প্রকাশ করছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘চীন যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্যের মত আচরণ করবে বলে আমরা আশা করছি। ’
চলতি সপ্তাহে জাপানের ডান-পন্থীরা বাসভর্তি চীনা পর্যটকদের নাজেহাল করার পর চীন এর জনগণের ভ্রমণের উপর সতর্কতা জারি করে।
চীনের জাতীয় পর্যটন প্রশাসন শুক্রবার বর্তমানে জাপানে অবস্থানরত বা ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করা চীনা পর্যটক ও ভ্রমণ দলকে তাদের ভ্রমণের নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়।
এদিকে একটি সেনাকেন্দ্রের ছবি ধারণের অভিযোগে ১১ দিন আটক চার জাপানি নির্মাণকর্মীর তিনজনকে শুক্রবার মুক্ত করে চীন। তবে প্রশ্ন করার জন্য এদের মধ্যে একজনকে এখনও আটক রাখা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিরোধপূর্ণ দ্বীপের কাছ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর জাপান চীনের এক ট্রলারের ক্যাপ্টেনকে গ্রেপ্তার করার পর বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ দুটি’র মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এ দ্বীপটিকে জাপানিরা সেনকাকু ও চীনের নাগরিকরা দিয়াইয়ু বলে থাকে।
জাপান এ ক্যাপ্টেনকে মুক্ত করলেও এখনও দেশ দুটি’র মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিরোধের জের ধরে চীন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও ভ্রমণ বাতিল করাসহ অস্থায়ীভাবে জাপানে সব রপ্তানি বাতিল করে।
উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীন বিরোধীরা শনিবার টোকিওতে সমাবেশের পরিকল্পনা করে। এদিকে শুক্রবার ছোট পরিসরে সংঘটিত আন্দোলনে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে প্রায় অর্ধডজন বিদ্রোহী টোকিও’র চীনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে।
এ এলাকার নৌবাহিনীর স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরে জাতীয় স্বার্থে দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয় ওয়াশিংটন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১০