কিটো: বিদ্রোহী পুলিশ সদস্যদের হাতে ১২ ঘণ্টা আটক থাকার পর ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল করিয়া মুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদস্যদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তবে সরকারের তরফ থেকে এ ঘটনাকে অভুত্থানের চেষ্টা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী এক সপ্তাহ দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
রেডক্রসের একজন মুখপাত্র জানান, সেনাবাহিনীর একটি অভিযানে পুলিশের হাসপাতাল থেকে প্রেসিডেন্টকে মুক্ত করা হয়। এ সময় দুইজন বিদ্রোহী পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত।
রাজধানী কিটোর প্রধান সেনাব্যারাক থেকে অভিযোগ করে রাফায়েল করিয়া জানান, কেন্দ্রীয় পুলিশ তার মুখের উদ্দেশে টিয়ারগ্যাস ছুড়ে মেরেছে। তারা অভুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করেছে।
ইকুয়েডরের কৃচ্ছ্রতা আইনের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা কমে যাবে। এরই প্রতিক্রিয়াই দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বেশ কয়েকটি সেনাব্যারাক দখল করে, রাস্তাঘাট অবরোধ করে, রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পুরো কিটো শহর অচল হয়ে পড়ে।
সেনাবাহিনীর আটকাবস্থা থেকে মুক্তি হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যালকনি থেকে রাফায়েল করিয়া তার সমর্থকদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সমর্থকদের তিনি বলেন, ‘দেশে যারা পরিবর্তন চায় এটা তাদেরই উদাহরণ। নির্বাচনে না গিয়েই যারা বিপ্লব করতে চায় তাদের থামিয়ে দেওয়ারও দৃষ্টান্ত এটি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মতো অন্য কেউই পুলিশকে এতো সমর্থন করেনি, এর আগে তাদের বেতনও এই পরিমাণে কেউ বাড়ায়নি। আমরা পুলিশের জন্য অনেক করেছি, অথচ তারা এরকম কাজ করল। ’
এ ঘটনার পর ইকুয়েডরের পুলিশ বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ফ্রেডি মার্তিনেস পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার পুলিশের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাফায়েল করিয়া জানান, যেসব পুলিশ তাকে হাসপাতালে ঘিরে রেখেছিলো তারা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। তিনি বিশ্বস্ত সেনাসদস্যদের চেষ্টায় বেঁচে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০