ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আবর্জনার পাত্র থেকে খাবার খোঁজা বৈধ হচ্ছে জার্মানিতে! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
আবর্জনার পাত্র থেকে খাবার খোঁজা বৈধ হচ্ছে জার্মানিতে! 

জার্মানিতে মারাত্মক খাদ্য অপচয় করা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, এই অপচয়ের পরিমাণ বছরে প্রায় ১১০ লাখ টন।

জাতিসংঘের খাদ্য বর্জ্য সূচক (২০২১) অনুসারে, পরিবারের ভিত্তিতে খাবার অপচয়ের ক্ষেত্রে জার্মানি ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়।  

জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলছে, বিশ্বব্যাপী নয় হাজার ৩১০ লাখ টন খাবার আবর্জনা পাত্রে গিয়ে মেশে। এদিকে ৮০ কোটির বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন এবং ক্ষুধার্ত।

জার্মান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে মোট খাদ্য অপচয় অর্ধেক করার লক্ষ্য নিয়েছে। তবে এর ফলে সারা দেশে ৯৬০টি খাদ্য ব্যাংকে আরও বেশি খাবার জমা পড়ার সম্ভাবনা আংশিক।

ডাম্পস্টার ডাইভিং অর্থাৎ আবর্জনার পাত্র থেকে খাদ্যযোগ্য খাবার খুঁজে বের করা জার্মানিতে অবৈধ। নিওলিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটসের (এফডিপি) আইনমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান এবং সেম ইওসডেমির (সবুজ) কৃষিমন্ত্রী অবশ্য এ বিষয়টি নিয়ে আইনি পথে এগোচ্ছেন।  

তারা চান, সুপার মার্কেটের আবর্জনার পাত্রে ভোজ্য খাবারের সন্ধান করার জন্য যাতে কারো শাস্তি না হয়। শর্ত থাকবে, কোনো অনুপ্রবেশ বা সম্পত্তির ক্ষতি যেন না হয়। ইওসডেমির বলেন, যে আবর্জনা থেকে খাবারের খোঁজ করে, তার শাস্তি হওয়া ঠিক নয়।  

ফেডারেল মন্ত্রীরা হামবুর্গ রাজ্যের প্রস্তাবটিকে সমর্থন করছেন। এটি তথাকথিত ফৌজদারি ও প্রশাসনিক জরিমানা কার্যক্রমের নির্দেশিকার একটি সংশোধনী।

জার্মানির কিছু অংশে শিক্ষার্থীদেরও খাবারের জন্য আবর্জনা ফেলার বড়সড় পাত্রগুলির আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। তারা এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে।  

তবে ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য জার্মান ফুড ট্রেডের গণমাধ্যমের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান ব্যোটচার এ বিষয়ে ততটা উৎসাহী নন। তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে এমন পদক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই।  

ক্রিস্টিয়ান ব্যোটচার বলেন, আবর্জনার পাত্র থেকে বের করা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। ঝুঁকি যথাসম্ভব কম রাখতে আমরা আবর্জনার ক্যান তালা দিয়ে রাখি বা সেগুলো বন্ধ করে দিই।  

যেহেতু পণ্য ফেরত পাঠানো খুব ব্যয়বহুল। তাই গুদাম থেকে সরাসরি আবর্জনার পাত্রে সেগুলো জমা করা হয়। ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য জার্মান ফুড ট্রেডের (বিডিএল) আশঙ্কা, এগুলো খাওয়া যাবে না কারণ সেগুলি নির্দিষ্ট পাত্র থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।  

জার্মানিতে ডাম্পস্টার ডাইভিংকে বৈধ করার প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। তবে ব্যোটচারের দাবি, সমস্যাটি এখনো গোড়া থেকে মোকাবিলা করা হচ্ছে না। তার কথায়, সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত থাকা সব সংস্থাকে খাদ্যের অপচয় কমাতে বাধ্য করতে হবে। সব বাণিজ্যিক অপারেটরকে বাধ্য করতে হবে, কৃষি খাত থেকে শুরু করে বাধ্যতামূলক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খাদ্য অপচয় কমাতে। ডাম্পস্টার ডাইভিংকে দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ করে দিতে হবে।  

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।