তেহরান: ইরানের পরমাণু প্রকল্পে গুপ্তচর বৃত্তির দায়ে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে দুর্বল করার জন্য শত্রুরা ইন্টারনেটে ইলেকট্রনিক ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। হায়দার মোসলেহির বরাত দিয়ে আধা-সরকারী বার্তাসংস্থা মেহের এ তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরা ওয়েবসাইটের।
ভাইরাসের উপস্থিতির ঘটনাটি জানানোর পর বুশহেরের কার্যক্রম আরও কয়েক মাস পেছানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে গ্রেপ্তারের ঘটনার সঙ্গে টাক্সনেট মেলওয়ার ভাইরাসের ঘটনার সম্পর্কের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। টাক্সনেট মেলওয়ার ভাইরাস বুশহের পরমাণু কেন্দ্রের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে আক্রমণ করে। তবে তা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি।
মোসলেহির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইট প্রেস টিভি বলে, ‘আমরা নিয়মিতই তাদের ধ্বংসাত্মক কাজের সম্মুখীন হচ্ছি। তাদের প্রতিরোধে আমরা কয়েকজন পরমাণু গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করেছি। ’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাদের প্রতিরোধে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা একটি সমাধান বের করেছে এবং এটা প্রয়োগ করা হবে। ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কে আমাদের ক্ষমতার মধ্য দিয়ে আমরা শত্রুদের কার্যক্রম প্রতিহত করবো। ’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে টাক্সনেট মেলওয়ার ভাইরাস ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ব্যবস্থায় আক্রমণ করলেও এর ৬০ শতাংশই ইরানে পাওয়া যায়।
মূলত বৈদ্যুতিক স্থাপনার মত শিল্পায়িত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সংক্রমণের জন্য এ ভাইরাসটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছে।
সরকার বা সম্পদশালী কোনো বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ভাইরাসটি তৈরি করেছে বলে ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিমানটেক কর্প জানায়। একইসঙ্গে সুশিক্ষিত ও বড় আকারের অর্থ পাওয়া পাঁচ থেকে দশ জনের একটি ছোট দল এটা তৈরির পেছনে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে সিমানটেক।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশটি আশঙ্কা করলেও জনগণের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ কর্মসূচি বলে তেহরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
শান্তিপূর্ন উদ্দেশ্যে এ কর্মসূচি চালানোর ইরানের দাবির সত্যতার জন্য দফায় দফায় দেশটির উপর কঠোর অবরোধ আরোপ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১০