তিয়ানজিন: জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা গরাদবন্দী অবস্থা থেকে বের হয়ে সোমবার পুনরায় শুরু হয়েছে। এর ফলে এই সতর্কবার্তা জানানো হচ্ছে যে, দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকা দেশগুলোর পরস্পরের লড়াই বন্ধ করে দ্রুত একটি চুক্তিতে সম্মত হওয়া দরকার।
চীনের উত্তরাঞ্চলের বন্দরশহর তিয়ানজিনে শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী এই আলোচনা দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়ার অংশ। ২০১২ সাল পরবর্তী বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর চুক্তি নিশ্চিত করতে এ জন্য জাতিসংঘকে কঠোর উদ্যোগ নিতে হয়েছে।
জলবায়ু আলোচনা এই প্রথম চীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটি গ্রিনহাউস গ্যাসের সবচেয়ে বড় উৎস। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জাতিসংঘ কাঠামোগত কনভেনশন (ইউএনএফসিসিসি) নামের সংস্থা এই আয়োজন করেছে।
গত বছর কোপেনহাগেন সম্মেলনে বিশ্বনেতারা কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে পারেননি। এ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতিও হয়নি। তবে সব দেশের প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে আগামী মাসে মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনের আগে তারা যেন এই অচলাবস্থা দূর করেন।
ইউএনএফসিসিসি’র নির্বাহী সচিব ক্রিস্টিনা ফিগুয়েরেস সম্মেলনের শুরুতে বলেন, ‘সবার জন্য সাধারণ একটি ত্রে তৈরির করার এখনই সময়। ’
ফিগুয়েরেস আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত বিষয়টা হচ্ছে, এই তৎপরতা বিলম্ব করার কারো কোনো ইচ্ছার অধীন নয়। তবে সবার ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানো ও এই তৎপরতাকে বেগমান করতে এতে প্রত্যেকেরই স্বার্থ আছে। ’
তিয়ানজিয়ানে প্রধান যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, জলাবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবের কবলে পড়া উন্নয়শীল দেশগুলোর জন্য প্রতি বছর যে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে--এই প্রতিশ্রুত তহবিল বিষয়ে আলোচকরা কোনো অগ্রগতি করতে পারবেন কিনা।
তিয়ানজিয়ানে বিভিন্ন সরকার, শিল্পগোষ্ঠী, বেসরকারি সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১০