ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন রুশ বংশোদ্ভূত দুই বিজ্ঞানী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১০
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন রুশ বংশোদ্ভূত দুই বিজ্ঞানী

স্টকহোম: রুশ বংশোদ্ভূত দুইজন বিজ্ঞানীকে পদার্থবিদ্যায় ২০১০ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গ্রাফিন নামের একধরনের সরু কার্বনপাত তৈরিতে অবদান রাখায় মঙ্গলবার এ পুরস্কারের জন্য তাদের নাম ঘোষিত হয়েছে।



রুশ বংশোদ্ভূত ওই দুই বিজ্ঞানীর নাম আন্দ্রেই জেইম ও কনস্তানতিন নভোসেলভ। তারা দুইজনই পদার্থবিদ হিসেবে রাশিয়ায় তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেন। তবে বর্তমানে তারা ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। জেইম-এর রয়েছে ডাচ নাগরিকত্ব এবং নভোসেলভ-এর ব্রিটিশ ও রুশ নাগরিকত্ব উভয়ই রয়েছে।

সুইডিশ একাডেমী অব সায়েন্সেস গ্রাফিনের প্রশংসা করে বলে, ‘নিখুঁত পরমাণুর জাল। ’ কম্পিউটারে, বাড়ির ছোটখাট যন্ত্রে ও পরিবহনে এর উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়।

সুইডিম একাডেমী প্রশংসা বলে জানায়, জেইম (৫১) ও নভোসেলভ (৩৬) দেখিয়েছেন যে, এরকম মসৃণ তলে কার্বনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার উৎপত্তি কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার অসামান্য বিশ্ব থেকে।

পুরস্কারের মধ্য দিয়ে গ্রাফিনের পথে একটি নতুন দুনিয়ার সূচনা হলো। কার্বনের বিশেষ গ্রাফিন রূপকে পরবর্তী প্রজন্মের অতি-পদার্থ (সুপার-ম্যাটেরিয়াল) হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

কেবল এক পরমাণু প্রস্থবিশিষ্ট এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে সরু ও মজবুত ন্যানো-পদার্থ। এটা প্রায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবাহী।

এর ফলে কম্পিউটারের চিপ প্রকৌশলীদের একটি দ্রুত বিকাশমান সমস্যার সমাধান হবে। চিপের মতা বাড়াতে ও একইসঙ্গে এর আকার ছোট করতে চায় প্রকৌশলীরা, আর তা তাপমাত্রা না বাড়িয়ে সম্ভব নয়। কম্পিউটারের মূল সমস্যাই তাপমাত্রা। এখন এর সাহায্যে চিপের মতা বাড়ানো ও আকার ছোট করা সম্ভব হবে।

গ্রাফিন বিষয়ে এটা ভাবা হচ্ছে অর্ধপরিবাহী সিলিকন যুগকে প্রতিস্থাপিত করবে।

তত্ত্বে প্রমাণ করে দেখানো হয়েছে, গ্রাফিনের ট্রানজিস্টর বর্তমান কম্পিউটার চিপসের গতি অনেক বাড়িয়ে দেবে ও এটা উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল হবে।

মঙ্গলবার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর জেইম অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি গভীর ঘুমে ছিলাম। আমি এ বছর নোবেল পুরস্কার আশা করিনি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতে, নোবেল পুরস্কার জয়ীদের অনেক ক্যাটেগরি রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, নোবেল পুরস্কার জীবনের বাকি সময়টা কোনো কাজই করতে দেয় না। এটা বড় তিকর হলো। ’

জেইম বলেন, পুরস্কান জয়ীদের আরেক দল মনে করেন দুর্ঘটনাবশত তারা নোবেল পেয়েছেন। সুতরাং তারা এখন থেকে আগে চেয়ে কঠোর পরিশ্রম করবেন।

গত বছর ফাইবার অপটিকসের ওপর অবদান রাখায় চার্লস কাও, উইলার্ড ও জর্জ স্মিথ এ পুরস্কার লাভ করেন।

বুধবার রসায়নে, বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে পুরস্কার জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া আগামী ১১ অক্টোবর, সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর ঘোষণা করা হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর শান্তিতে নোবেল জয়ীকে অসলো শহরে ও একই দিন স্টকহোমে অন্যান্য নোবেল জয়ীদের তাদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।