সিউল: উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ‘আশঙ্কাজনক পর্যায়ে’ পৌঁছেছে। পিয়ংইয়ং ছোট কোনো অস্ত্র তৈরি করলেও তা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ক্ষতিকর হবে।
কিম তায়ে-হোয়ের উদৃতি দিয়ে জং অং ইলবো সংবাদপত্র জানায়, ‘উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এখনও পর্যন্ত পরমাণু কর্মসূচির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এ হুমকি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ’
প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শকের সহকারি কিম তার এ মন্তব্যের বিষয়টি বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছে।
পিয়ংইয়ং অস্ত্র তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন প্লোটোনিয়াম উৎপাদনকারী ইয়ংবাইওন পরমাণু চুল্লি এবং বোমা তৈরির মত ইউরেনিয়াম উৎপাদনের কাজসহ সব ধরনের পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি।
কিমের বরাত দিয়ে জং অং জানান, ‘যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি ও তা প্রয়োগ করা হয় তাহলে বিবেচনাহীন এ কাজ সঠিক অবস্থানে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য হবে বিশাল ক্ষতির কারণ। ’
একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ায় চলমান নেতৃত্বের রদবদলের বিষয়েও সতর্ক করেন কিম।
চার তারকা জেনারেলের ক্ষমতা পাওয়া কিম জং-ইলের তরুণ ছেলে কিম জং-উন ক্ষমতা প্রদর্শনের উপায় হিসেবে উসকানিমূলক এবং বিপদজনক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তার এ বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আন্ত:কোরিয় সম্পর্ককে বিপদের মুখোমুখি করবে। ’
ছয় জাতি পরমাণু নিরস্ত্রিকরণ কর্মসূচির চাপের মুখে ২০০৭ সালের জুলাই এ উত্তর কোরিয়া ইয়ংবাইয়নের কার্যক্রম স্থগিত করে। কিন্তু ২০০৯ সালে পিয়ংইয়ং এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে এবং আবারও কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়।
উত্তর কোরিয়ার বর্তমানে মজুদকৃত প্লোটোনিয়াম ছয় থেকে আটটি বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট।
২০০৬ সালের অক্টোবর এবং ২০০৯ সালের মে মাসে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০