লস অ্যাঞ্জেলেস: যুক্তরাষ্ট্রে দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নামের একটি চলচ্চিত্র পয়লা অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে। চলতি সপ্তাহ শেষে এটিই এ পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা।
নিউনিয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিক ডেভিড কার-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, জুকারবার্গের প্রজন্মের তরুণরা তাকে একজন নায়ক হিসেবেই দেখতে চায়। তরুণদের দাবি, জুকারবার্গ তার জ্ঞান ও কর্মস্পৃহার মাধ্যমেই ইন্টারনেটের এই সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। ডেভিড কার দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সিনেমাটির অভিনেতা ও সমালোচকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেটারই চুম্বক অংশ এখানে দেওয়া হলো।
মার্ক জুকারাবার্গের চরিত্রে অভিনয়কারী জেসে আইসেনবার্গ বলেন, ‘বয়স্ক লোকজন আমাকে বার বার জিজ্ঞেস করেছিলো, এতো হীন একটি চরিত্রে আমি কীভাবে অভিনয় করতে পারি, তারা আমাকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলো। তবে তরুণরা কখনোই এরকম প্রতিক্রিয়া করেনি। ’
চলচ্চিত্র সমালোচক রজার এবার্ট বলেন, ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অপার্থিব মেধাসম্পন্ন একজন তরুণের গল্প যার চোখ অসীম সম্ভাবনাময় একটি সিস্টেমের দিকে। ’
টাইম পত্রিকার সাংবাদিক রিচার্ড করলিস বলেন, ‘সত্যি বলতে কি জুকারবার্গ অমানবিক নন, বরং মানবোত্তর। তিনি নিজেই অ্যালগরিদম গণনার একটি সিরিজ, কম্পিউটারের কোড। যারা চেনে তাদের অধিকাংশই তাকে দুর্বোধ্য মনে করে। ’
চলচ্চিত্রটির আরেক সমালোচক ম্যাট জোলার সেইটস বলেন, ‘ভৌতিক ছবির দানবের আধুনিক ও শ্বেত চামড়ার সংস্করণ হচ্ছে জুকারবার্গ। ’
ুদ্র আয়তনের মধ্যে কয়েকটি উদাহরণ টানা হলো এখানে। তবে অভিনেতা জেসে আইসেনবার্গ ও মার্ক জুকারবার্গ দুজনই অতি মেধাবি ও খানিক দুর্বোধ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০