স্টকহোম: রসায়নবিদ্যায় ২০১০ সালের নোবেল পুরস্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড হেক এবং জাপানের এই-ইচি নেগিশি ও আকিরা সুজুকি। ক্যান্সারের নতুন ওষুধ ও বৈপ্লবিক প্লাস্টিক-এ কার্বন অণু কাজে লাগাতে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করায় বুধবার তারা যৌথভাবে এ পুরস্কার পেলেন।
রয়াল সুইডিশ একাডেমী জানায়, তাদের গবেষণার ফলে মানবজাতির জন্য নতুন ওষুধ আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে রিচার্ড ই. হেক ও পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই-ইচি নেগিশি এবং জাপানের হোকাইদো বিশ্ববিদ্যালয়ে আকিরা সুজুকি অধ্যাপনা করেন।
কার্বনভিত্তিক জৈব রসায়নে তারা তিনজনই বিশিষ্ট অবদান রেখেছেন। প্রাণের অপরিহার্য অণু কার্বন। সিনথেটিক শিল্পে এর অসংখ্য ব্যবহার রয়েছে।
রয়াল সুইডিশ একাডেমী অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে, শিল্প গবেষণায় বা সূক্ষ্ম রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদনে তাদের আবিষ্কারের মহান তাৎপর্যের ওপর জোরারোপ করা গুরত্বপূর্ণ। এর মধ্যে আছে, ওষুধপ্রস্তুতশিল্প, কৃষি রাসায়নিক ও উচ্চপ্রযুক্তি সম্পর্কিত পদার্থ। এগুলোর মাধ্যমে সমাজ উপকৃত হয়েছে। ’
একাডেমী আরও জানায়, তাদের কাজের মাধ্যমে জৈব রসায়ন একটি ‘শিল্প আঙ্গিকে পৌঁছে গেছে যেখানে বিজ্ঞানীরা তাদের টেস্টটিউবে চমৎকার সব রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন করেন। ’
তাদের আবিষ্কারের ফলে রসায়নবিদরা মলাশয় ক্যান্সার, চর্মরোগসংক্রান্ত একধরনের ভাইরাস ও এইচআইভি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জটিল রাসায়নিকের সংশ্লেষণ ঘটাতে পেরেছেন। একইসঙ্গে সুক্ষ্ম সব প্লাস্টিক তৈরিও সম্ভব হয়েছে, যা ব্যবহার করে অতি সরু কম্পিউটার মনিটর প্রস্তুত করা সম্ভব।
চলতি বছর নোবেল পুরস্কারের মূল্যমান হচ্ছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, যা তিনজন বিজ্ঞানীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোয় তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০