ঢাকা: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া সিরিয়া সরকার বা বিদ্রোহী কাউকেই সমর্থন করছে না। বরং সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষেই কথা বলছে।
সহিংসতা বন্ধে সন্তোষজনক পদক্ষেপ না নেওয়ার পরও রাশিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে- পশ্চিমাদের এ অভিযোগের জবাবে এ কথা বলেন পুতিন।
গত শুক্রবার সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কারো পক্ষে বা বিপক্ষে নই। আমরা চাই সিরিয়ায় চলমান সহিংসতা আর গৃহযুদ্ধ বন্ধ হোক। সেখানে একটি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনাই আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য। ’
পুতিন বলেন, ‘সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির বিপরীতে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে পেতে হলে দেশটির সরকার ও বিরোধী পক্ষ উভয়কেই সহিংসতা বন্ধ করে আলোচনায় বসতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতির উন্নয়নে কারো কিছু করার নেই। ’
দেশটিতে চলমান সহিংতা বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত পশ্চিমাদের পরিকল্পনাকে পক্ষপাতমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে তাতে দু’বার ভেটো দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। আর আসাদ সরকারের বড় মিত্রও এ দুই দেশ।
অবশ্য কফি আনানের শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে, আনানের পরিকল্পনা সিরিয়ায় কার্যকর হবে। সিরিয়াতে লিবিয়া পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চান না বলেও উল্লেখ করেন পুতিন।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন দশক ক্ষমতায় থাকা লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ২০১১ সালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সহায়তায় ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যা করে সেখানাকার বিদ্রোহীরা।
অপরদিকে প্রয়োজনে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ। গত মঙ্গলবার এক টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় সেনা অভিযান অনুমোদন করলে সে ব্যাপারে ফ্রান্সের আপত্তি থাকবে না। ’
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকাররের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যকার সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রাণহারিয়েছে বলে দাবি করে জাতিসংঘ।
এর মধ্যে গত ২৫ ও ২৬ মে হোমস প্রদেশের হুলা শহরে এযাবতকালের সহিংসতম ঘটনায় ২৯ শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সরকার ও বিদ্রোহী একে অপরকে দোষারোপ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর