ঢাকা: ১৯৯৫ সালে স্রেব্রেনিকায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলা যায় না বলে দাবি করেছেন সার্বিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট তমিস্লভ নিকোলিক।
মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, ‘স্রেব্রেনিকায় কোনো গণহত্যা সংঘটিত হয়নি।
পশ্চিমাপন্থি এবং চরম জাতীয়তাবাদী নেতা নিকোলিক গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
১৯৯৫ সালে বসনিয়ান সার্বদের হাতে আট হাজার মুসলিম পুরুষ ও বালক নির্বিচারে হত্যার শিকার হয়। হেগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এ ঘটনাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে।
এ গণহত্যার মূল হোতা বসনিয়ান সার্ব বাহিনীর তৎকালীন কমান্ডার জেনারেল রাতকো ম্লাদিক এবং যুদ্ধকালীন রাজনৈতিক প্রধান রাদোভান কারাদজিক। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে এখন তাদের বিচার চলছে।
কিন্তু জাতিসংঘের দৃষ্টিভঙ্গি উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্ট নিকোলিক বলেন, ‘স্রেব্রেনিকাতে সেসময় সার্বদের দ্বারা ব্যাপক যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে। তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিৎ। ’
তিনি বলেন, ‘আদালতের সামনে কোনো ঘটনাকে গণহত্যা বলে প্রমাণ করা এবং এর জন্য একজনকে দায়ী প্রমাণ করাটা খুব কঠিন। ’ অবশ্য বক্তব্যের পেছনে আন্তর্জাতিক আদালতের কোনো বিধির সমর্থনের উল্লেখ করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সময় স্রেব্রেনিকায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে জেনারেল ম্লাদিকের নেতৃত্বে সার্ব সেনা ঢুকে পড়ার কয়েক দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। সার্বরা সেখানে আশ্রয় নেওয়া মুসলিম পুরুষ ও ছেলে শিশুদের বেছে বেছে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তমিস্লভ নিকোলিকের পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিক অবশ্য স্রেব্রেনিকায় নিহতদের আত্মীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০০৫ সালে তিনি নিহতদের স্মরণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর