ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

অপরিণত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৬, জুন ২, ২০১২
অপরিণত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি

ঢাকা : অপরিণত অবস্থায় বা গর্ভকাল পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেওয়া শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি থাকে। এসব শিশুর মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

দ্য আর্কাইভস অব জেনারেল সাইকিয়াট্রির এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

অপরিণত এসব শিশু বাইপোলার ডিসঅর্ডার (অনুপ্রেরণা-বিষণ্নতার মাঝামাঝি মানসিক অবস্থা), বিষণ্নতা এবং মনোবৈকল্যসহ নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগার ঝুঁকি খুব বেশি। তাই অপরিণত শিশুদের জন্য সবসময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্নের প্রয়োজন আছে বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।

প্রসূতিবিদ্যার হিসাবে সাধারণভাবে গর্ভকাল পূর্ণ হতে ৪০ সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু কোন শিশু ৩৬ সপ্তাহের আগেই ভূমিষ্ঠ হলে তাকে অপরিণত শিশু বলা হয়।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন লন্ডনের কিংস কলেজের ইন্সটিটিউট অব সাইকিয়াট্রি এবং সুইডেনের ক্যারোলিনসকা ইন্সটিটিউট। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সুইডেনে জন্ম নেওয়া ১৩ লাখ শিশুর ওপর তারা এ গবেষণা পরিচালনা করেন।

পর্যবেক্ষণে দেখা  গেছে, এ সময়ের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে ১০ হাজার ৫শ’ ২৩টি পরবর্তীতে মানসিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা নিতে যাওয়া এসব রোগীর মধ্যে ৫শ’ ৮০ জন অপরিণত অবস্থায় জন্ম নিয়েছিল।

এছাড়া গর্ভকাল পূর্ণ করা প্রতি এক হাজারে ২ শিশু, ৩৬ সপ্তাহের পূর্বে জন্ম নেওয়া শিশুদের প্রতি এক হাজারে ৪ এবং ৩২ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের প্রতি এক হাজারে ৬টির মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

গবেষকরা বলেছেন, স্বাভাবিক শিশুর চেয়ে অপরিণত শিশুর বাইপোলার ডিসঅর্ডার হওয়ার আশঙ্কা সাত গুণ বেশি এবং বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তিন গুণ বেশি।

বাস্তবে অপরিণত শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যার হার হয়তো আরও বেশি বলে মনে করেন গবেষক ড. কিয়ারা নোসারতি। তাদের সমস্যা সহনীয় পর্যায়ে থাকায় চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না বলে সংখ্যাটি গণনায় আনা সম্ভব হয় না।

তবে অপরিণত শিশুদের নিয়ে বাবা-মায়েদের খুব বেশি ভয়ের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ড. কিয়ারা। তবে এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।