ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ত্রিপোলি বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় লিবীয় কর্তৃপক্ষের হাতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৩, জুন ৫, ২০১২
ত্রিপোলি বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় লিবীয় কর্তৃপক্ষের হাতে

ঢাকা: লিবিয়ার অন্তবর্তী কর্তৃপক্ষ রাজধানী ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম। এর আগে গাদ্দাফি বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেওয়া মিলিশিয়াদের একটি গ্রুপ বিমানবন্দরটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে সেখানকার সব কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়।



সোমবার বিকেলের দিকে লিবিয়ার অন্তর্বতীকালীন কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম । মিলিশিয়া গ্রুপটির সঙ্গে কর্তৃপক্ষের আলোচনা ভেঙ্গে যাওয়ার পর লিবীয় বাহিনী মিলিশিয়াদের হটিয়ে দিয়ে বিমান বন্দরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে বলে জানিয়েছেন লিবিয়ার অন্তবর্তী সরকারের সহকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওমার আল খাদরায়ি।

বিমান বন্দরের ফ্লাইট পরিচালনা এখনও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে এর কার্য্যক্রম এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

লিবিয়ার রাজধানীর ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত তারাউনা শহরে কেন্দ্রিক মিলিশিয়া গ্রুপ আল আফিয়ার নেতা কর্নেল আজিলা আল হাবশি দুইদিন আগে অদৃশ্য হয়ে যান। মিলিশিয়া গ্রুপটির সন্দেহ তাদের নেতাকে সরকার গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে।

ধারণা করা হচ্ছে তার নিঁেখাজ হওয়ার ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই মিলিশিয়া গ্রুপটি বিমানবন্দর দখল করে নেয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র ব্যক্তিরা এসময় আকাশে গুলি ছোড়ে এবং বিমান বন্দরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিমানবন্দরের কর্মচারী ও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মিলিশিয়ারা এ সময় জোরপূর্বক বিমান বন্দরের সব ফ্লাইট পরিচালনা কার্য্যক্রম বন্ধ রাখে।  

লিবীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আলি আল শাইখি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে কোনো জোর প্রয়োগ ছাড়াই বিমান বন্দর থেকে মিলিশিয়াদের সরে যাওয়ার জন্য তাদের সরকারের মধ্যস্থতাকারীরা চেষ্টা চালান। তাবে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে অন্তবর্তী সরকারের অনুগত বাহিনী বিমান বন্দরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।   তিনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার জন্য আল আফিয়া ব্রিগেডের নিন্দা জানান।

তবে এসময় উভয় বাহিনীর মধ্যে কোনো সংঘর্ষ ঘটেছে কি না তা জানা যায় নি।

ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা এনটিসির মুখপাত্র মোহাম্মদ আল হারিজি বলেন তারাউনা থেকে ত্রিপোলির মধ্যবর্তী স্থান থেকে ভ্রমনের সময়ে আল আফিয়া নেতা হাবশিকে অজ্ঞাত বন্দকধারীরা অপহরণ করে। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই জানিয়ে বলেন তার নিঁেখাজ হওয়ার ব্যাপারে সরকার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, এনটিসি সম্পূর্ণ লিবিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে এখনও সংগ্রাম করে যাচ্ছে। গাদ্দাফি বিরোধী লড়াইয়ে লিবিয়ার বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ কোনো কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছাড়াই নিজেদের মত করে অংশ নেয়। এই গ্রুপগুলোকে একক কমান্ডের অধীনে একত্রিত করতেই মূলত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে এনটিসি।

গ্রুপগুলো বিভিন্ন ব্রিগেডের নামে বিভক্ত হয়ে তাদের নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় আইন-শৃংখলা রক্ষাসহ প্রশাসনিক দায়িত্ব নিজেদের ওপর তুলে নিয়েছে। মূলত একটি কেন্দ্রীয় ও সৃশৃংখল সেনা এবং পুলিশ বাহিনীর অভাবেই তারা এটা করার সুযোগ পাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।