ঢাকা: সৌরশক্তি চালিত বিমানে চড়ে ইউরোপ থেকে আফ্রিকায় পাড়ি জমালেন সুইজারল্যাণ্ডের বার্ট্রাণ্ড পিকার্ড (৫৪) এবং আন্দ্রে বোর্সবার্গ (৫৯)। দুঃসাহসিক এই অভিযানে তারা প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দেন।
সুইজারল্যাণ্ডের পেয়েরনি থেকে তারা প্রথম স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে আসেন। সেখান থেকে জিব্রাল্টার প্রণালীর ওপর দিয়ে উড়ে বিমানটি নিয়ে মঙ্গলবার মরক্কোর রাবাত-সেলে অবতরণ করেন বার্ট্রা-। এ সময় তারা মোট ২৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট ১৯ সেকেণ্ড আকাশে ওড়েন।
দীর্ঘ এই যাত্রাপথে বিমান চালনায় তারা কোন জ্বালানি তেল নয় বরং সৌরশক্তি চালিত বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করেছেন। সৌর প্যানেলটিতে মোট ১২ হাজার সৌরকোষ ব্যবহার করা হয়েছে। বিমান উড্ডয়নের জন্য ৪ শ কেজি ওজনের লিথিয়াম পলিমারের তৈরি ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়া হয়েছে।
আকারে এটি সাধারণ যাত্রীবাহি এ৩৪০ বিমানের মতই বিশাল বটে। তবে সে অনুপাতে বিমানটির ওজন একেবারেই কম।
বার্ট্রাণ্ড এবং বোর্সবার্গ ২০১৪ সালে এই বিমানটি নিয়েই বিশ্ব ভ্রমণে বের হবেন। সে যাত্রার প্রস্তুতি হিসেবে তারা পরীক্ষামূলক এই বিমানযাত্রা সম্পন্ন করলেন বলে জানান বার্ট্রাণ্ড।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৯৯ সালে বার্ট্রাণ্ড তার অপর এক সহযোগীকে নিয়ে বেলুনে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণ করেন। বার্ট্রাণ্ড যদিও একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কিন্তু তিনি একজন শখের আকাশচারিও। আর সে কারণেই এমন দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর