ঢাকা : ব্যথানাশক ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আর্ন্তজাতিক ফুটবল খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও ক্যারিয়ার দু’টোই হুমকির মুখে পড়ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফার পক্ষ থেকে ফুটবলারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
ফিফার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জিরি জোরাক সম্প্রতি বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, খেলা শুরুর আগে অনেক খেলোয়াড়ই কমবেশি ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করে থাকেন।
বিশ্ব ফুটবলের শাসক সংস্থা ফিফার মেডিকেল টিম বিশ্বকাপ-২০১০এ অংশ নেয়া দলগুলোর চিকিৎসকদের কাছে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড়দের ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারের বিবরণ জানতে চান। তাদের সরবরাহ করা তথ্যে দেখা গেছে, খেলোয়াড়রা বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০১০ বিশ্বকাপেই সবচেয়ে বেশি ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করেছেন।
সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া শতকরা ৩৯ ভাগ খেলোয়ারই প্রতিটি ম্যাচের আগে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করেন। তবে অঞ্চলভেদে ফুটবলারদের ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারের মাত্রাতেও রয়েছে ব্যাপক ফারাক। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যথানাশক গ্রহণের প্রবণতা অপেক্ষাকৃত বেশি। গত বিশ্বকাপে এ অঞ্চলের খেলোয়াড়দের ম্যাচ প্রতি ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের হার সর্বোচ্চ ছিলো বলে ওই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়।
ফিফার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জিরি জোরাক জানান, আহত খেলোয়াড়দের দ্রুত মাঠে ফেরত পাঠাতে দলের চিকিৎসকদের চাপ দেওয়া হয়। মূলত এ প্রবণতার কারণেই ব্যথানাশক ওষুধের ‘অপব্যবহার’হচ্ছে বলে জানিয়েছে তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্তি ব্যবহার পেশাদার খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপদজনক। উচ্চমাত্রার ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যথানাশক ওষুধের এই অপব্যবহার বন্ধে ইউরো ২০১২ প্রতিযোগিতাতেই ফুটবল বিশ্বকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডা.জিরি জোরাক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১২
সম্পাদনা : শাহেদ হোসেন ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর