ঢাকা: সাফল্যজনকভাবে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম দূরপাল্লার ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতেই দেশটি এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
হাতাফ-সাত নামের অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাটির খুব নিকট দিয়ে উড়তে সক্ষম। পাশাপাশি এর কার্যকরীতাও প্রায় নির্ভুল বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানি সমর বিশেষজ্ঞরা। স্টিলথ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্রটি একই সঙ্গে রাডারের নজরদারিও পরিহার করতে সক্ষম। মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটির রেঞ্জ ৪৩৫ মাইল ৭শ’ কিলোমিটার বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় ধরণের ওয়ারহেডই বহন করতে সক্ষম।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এর পরীক্ষা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সফল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে পরবর্তী বছরের বাজেট উপস্থাপনের একদিন পরই এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হলো। এবারের বাজেটে সামরিক খরচ ১০ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
তবে সামরিক বাহিনীর বাজেট বৃদ্ধির প্রস্তাবে সমালোচনা করেছেন দেশটির অনেকেই। পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল রাজনৈতিক নেতা ইমরান খান এই বরাদ্দ বৃদ্ধির সমালোচনা করে সামরিক খাতে ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বলেছেন।
এদিকে হাতাফ-সাতের ব্যাপারে পাকিস্তানের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ভারতীয় আক্রমণের হুমকিকে প্রতিহত করতেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হলো। পাকিস্তানের সামরিক বিশেষজ্ঞ মনসুর আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এটাই প্রমাণ করলো সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে সক্ষমতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে সীমান্তের যে কোনো স্থানে সম্ভাব্য ভারতীয় সামরিক গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটগুলোতে আঘাত হানতে পারবে পাকিস্তান। তবে এর তাৎপর্যপূর্ন দিক হলো পাকিস্তান বর্তমানে পাল্টা হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে এটা প্রমাণ করা। এর মানে হচ্ছে শত্রুপক্ষের প্রথম আক্রমনকে প্রতিহত করা এবং এরপর পাল্টা আক্রমন চালানো। সমর বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হাতাফ সাতের মাধ্যমে সীমান্তের কাছাকাছি যে কোনো ভারতীয় টার্গেটে এখন পাকিস্তান নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৯ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর