ঢাকা: মধ্য এশিয়ায় উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ অঞ্চলে পশ্চিমা আক্রমণ প্রতিহত করতে ছয় জাতি আলোচনার আয়োজন করেছে চীন ও রাশিয়া।
বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় দু’দিন ব্যাপী এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অপর চারটি দেশ হচ্ছে কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান।
প্রসঙ্গত, আলোচনায় অংশ নিতে যাওয়া এ ছ’টি দেশ সাংহাই কোঅপারেশন অরগ্যানাইজেশনের (এসসিও) সদস্য।
পারস্পারিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে স্ব স্ব দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করা, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিজেদের উপর পশ্চিমা প্রভাব ও আক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে এই ছ’টি দেশ ২০০১ সালে সাংহাই কোঅপারেশন অরগ্যানাইজেশন গঠন করে।
বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় এই ছয় জাতি আলোচনায় আফগানিস্তানকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাশিয়া। আঞ্চলিক অবস্থানগত গুরুত্বের কারণেই আফগানিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, ইরান ও মঙ্গোলিয়াকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে আলোচনায় উপস্থিত হবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ সময় সম্মিলিত আলোচনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। আশা করা হচ্ছে সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক কৌশলগতভাবে নতুন একটা পর্যায়ে উন্নীত হবে।
আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার করার পর সেখানে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার বিষয়েও সম্মেলনে আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটা গ্রহণযোগ্য কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে সেখানকার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের সাথে আলোচনায় বসবেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
তৃতীয় দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর এই প্রথম চীন সফরে এসেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতেই তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার তিনি চীনে পৌঁছেছেন।
সফরের মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি ইউরোএশিয়ায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করতেই এই ছ’জাতি আলোচনার আয়োজন করেছে চীন ও রাশিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর