ঢাকা: ভারতের অন্ধ্রপ্রেদেশে কয়েক’জন নেতাকর্মীর কাছ থেকে মোট ৩২ কোটি রুপি নগদ অর্থ জব্দ করেছে প্রশাসন। কর্মকর্তারা ৯ কোটি রুপি মূল্যমানের সোনা-রুপা ও এক দশমিক ৭৪ লিটার মদ জব্দও করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে ১২ জুন অনুষ্ঠেয় রাজ্যসভার ১৭টি এবং লোকসভার একটি আসনের উপিনির্বাচনে ভোট কেনার জন্য এসব টাকা-পয়সা মজুদ করা হয়েছিল।
২০০৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে ৩৮ কোটি রুপি জব্দ করে প্রশাসন।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ইদানীং নির্বাচনের আগে ভোট কেনা বা অর্থ দিয়ে গরীব সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা অহরহ ঘটছে। নির্বাচনের সময় ভোটারদের নগদ টাকাসহ সোনাদানা এবং মদ বিতরণের জোয়ার বয়ে যায় এমন খবর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা অন্ধ্রপ্রদেশের এ উপনির্বাচনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। নির্বাচনী আসনের সংখ্যা অনেক কম হলেও বড় দলগুলোর জন্য এটি বাঁচা-মরার লড়াই বলে আখ্যা দিয়েছেন তারা। কারণ এ নির্বাচনের ফলাফল ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে তাদের ধারণা।
আর একারণেই প্রার্থীরা মরিয়া হয়েই লড়বেন। হয়ত কেন্দ্র থেকেও সবুজ সংকেত পেয়েছেন তারা। রাজ্যের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ভানবার লাল বলেছেন, এখনো এক সপ্তাহ বাকি আছে। এ সময়ের মধ্যে আরো টাকা নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশের সম্ভাবনা আছে। বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। সব ক’টি নির্বাচনী এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এমনকি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের গাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, এটিএম কার্ড বা চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কারা টাকা তুলছে সে ব্যাপারেও কড়া নজরদারি রাখছে প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর