বেইজিং: চীনে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন মিয়ানমারের বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েসির সঙ্গে শনিবার আলোচনার সময় মুন এ প্রতিক্রিয়া জানান।
রোববার সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক মেলার সমাপনী দিনে যোগ দেওয়ার আগে মুন ও ইয়াং-এর ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামী সপ্তাহে মিয়ানমারের নির্বাচন ছাড়াও পরমাণু নিরস্ত্রিকরণ, কোরীয় দ্বীপপুঞ্জ, সুদান বিষয়ে আলোচনা হয়। জাতিসংঘের মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপি কাছে ইমেইল বার্তায় এসব তথ্য জানান।
মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান মিত্র দেশ চীন। বাণিজ্য সম্পর্ক, অস্ত্র বিক্রিসহ নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন সদস্য রাষ্ট্র হওয়ায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে মিয়ানমারকে রক্ষা করে আসছে চীন। একারণেই মুন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে দুই দশকের মধ্যে প্রথম অনুষ্ঠেয় মিয়ানমারের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রাড।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে সন্দেহ আছে। কারণ অনৈতিক নির্বাচনী আইনের আওতায় তারা এ নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ কারণে অনেক রাজনৈতিক দল কঠিন সীমাদ্ধতার মুখোমুখি পড়েছে। ’
যদিও ১৯৬২ সাল থেকে সেনা শাসনের মধ্যে থাকা দেশটিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রাড।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডও গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচনের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে একাধিকবার রাজনৈতিক নেতা অং সান সুচিসহ অন্যদের মুক্ত করারও আহ্বান জানান।
এবিসি টেলিভিশনকে রোববার গিলার্ড বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্বাধীনভাবে সব রাজনৈতিক দলের ভোট দিতে পারার পরিবেশ তৈরি করা উচিত। তা না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ হবেনা। ’
এদিকে ৭ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ধরনের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেশটিতে আসার অনুমতি দেয়নি মিয়ানমার সরকার।
তবে এরইমধ্যে একে ছলচাতুরির নির্বাচন বলে এর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০