ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শেষ হলো সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০
শেষ হলো সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা

সাংহাই: সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক মেলাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে চীন। রোববার মেলার শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।



চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও এ প্রদর্শনীর প্রশংসা করে একে ‘জমকালো উৎসব’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই মেলাটি সারা বিশ্বের মানুষকে একত্রিত করেছে। ’

মেলার সমাপনি অনুষ্টানে উপস্থিত হয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তিনি প্রদর্শনীর শেষ দিনে মেলার থিমকে বাস্তবায়িত করার প্রশংসা করেন।

মুন বলেন, ‘আর কিছুণের মধ্যে সাংহাই আন্তর্জাতিক মেলা শেষ হবে। কিন্তু তারপরও এর কথা সবার মনে থাকবে। আসুন আমরা আমাদের আলোচনা এবং জীবনযাপনে সাংহাইকে বাঁচিয়ে রাখি। ’

পর্যটন মেলার স্লোগান ছিলো ‘উন্নত শহর, উন্নত জীবন’। মেলায় ৭ কোটি ২০ লাখ পর্যটকের সমাবেশ ঘটে।

মেলার প্রধান দর্শনার্থীরা ছিলেন চীনের স্থানীয় ও বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা। মেলাকে ঘিরে তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাসে করে এসে তারা শহরের বিভিন্ন হোটেল, সাবওয়ে এবং অন্যান্য জায়গায় থেকেছেন। দুপুরের রোদে দীর্ঘ পথ হেঁটে, ঘামে ভিজে ১০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে জীবনে একবার বিদেশি স্থান ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি সাাতের এ সুযোগ পেয়েছেন।

পর্যটন মেলার প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে ছিলো, ডেনমার্কের বিখ্যাত ‘লিটল মারমেইড’ ভাস্কর্য, সুইস প্যাভিলিয়নে ছাদের উপর আলপাইন পর্বতের আবহে একটি ক্যাবল কার, ফরাসী প্যাভিলিয়নে লুভ জাদুঘরে রক্ষিত বিখ্যাত একটি ইমপ্রেশনিস্ট চিত্রকর্ম এবং কানাডার প্যাভিলিয়নে ‘সারকে দু সুলেইল’ সার্কাস দলের সৌজন্যে বিনোদনের ব্যবস্থা।

মেলা দেখতে আসা মধ্য চীনের জিয়াংঝি প্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত ঝু অ্যাইগু বলেন, ‘এ প্রদর্শনীকে ধন্যবাদ। আমার মতো যারা কখনো দেশের বাইরে যেতে পারবেনা তারা এ সুযোগে পুরো বিশ্ব একসঙ্গে দেখার অভিজ্ঞতা পেয়েছে। ’

ঝু আরও বলেন, ‘আমি এবারই প্রথম সাংহাই এ এসেছি। এটা চীনের সবচেয়ে অগ্রসর শহর এবং আমি খুবই আনন্দিত। ’

এ প্রদর্শনীর জন্য চীন ৪৩০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। এছাড়াও পাতালপথ, বিমানবন্দর এবং জনগণের বিভিন্ন সুবিধার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। ফুল ও আলোকসজ্জা করে পুরো শহর নতুন করে সাজানো হয়।

উল্লেখ্য শিল্প বিপ্লব উদযাপন এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি, খাবার এবং উদ্ভাবনী চিন্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ১৮৫১ সালে লন্ডনে প্রথম বিশ্ব আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।