ব্রাসিলিয়া: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডি সিলভা তার পরবর্তী উত্তরসূরি সাবেক সংসদীয় প্রধান দিলমা রোসেফকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কেননা নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রচারণার কাজ শেষ হওয়ার পর রোববার তিনিই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
এদিকে সব জরিপেই দেখা যায় রোসেফ (৬২) ১৪ পয়েন্ট পেয়ে তার প্রধান বিরোধী হোসে সেরা (৬৮) থেকে এগিয়ে আছেন। হোসে সাও পাওলোর সাবেক গভর্ণর ছিলেন।
এদিকে জয়ী হলে রোসেফই হবেন ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ ভোটের বিপরীতে রোসেফ ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও তার জয় নিশ্চিত বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
রিও ডি জ্যানেইরোর ভেইগা দে অ্যালমেইদা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক গুইলহেরমে কারভালহেইদো বলেন, ‘সব কিছু প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রোসেফের জয়ই নির্দেশ করে। ’
ব্রাজিলের দণিাংশের রাজ্য মিনাস জের্যাইসের প্রধান শহর বেলো হোরিজোন্তে সেরা ও রোসেফ শনিবার তাদের শেষ প্রচারণার কাজ চালান।
এসময় সমর্থকদের রোসেফ বলেন, ‘আমি একটি সংগঠিত ব্রাজিলের জন্য কাজ করতে যাচ্ছি। আমি কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই ব্রাজিলের সবার জন্য কাজ করবো। ’
এদিকে বেলো হোরিজোন্তে শহরের অপর প্রান্তে ভক্ত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সেরা বলেন, ‘আমরা একক কোনো ব্যক্তি, দল বা সরকারের জন্য কাজ করবোনা। ’
শুক্রবার ওই দুই প্রার্থীর মধ্যে টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এতে নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল পরিবর্তনের মত কোনো দিক নির্দেশনা ছিলোনা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে এইচআইভি ওষুধের সাহায্যে এইডস রোগীদের রা করে মানুষের মন জয় করতে সম হন সেরা।
এদিকে বহুল জনপ্রিয় লুলার সমর্থন প্রাপ্ত রোসেফ এক সাবেক গেরিলা। ১৯৭০ সালের সেনা শাসনের বিরোধিতা করায় তাকে কারাভোগ করতে হয় ও তিনি অত্যাচারের শিকার হতে হন।
এবারই প্রথম কোনো নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নেওয়া রোসেফ প্রথম সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে লুলার জ্বালানি মন্ত্রী ও পরে মন্ত্রী পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৯১০ ঘন্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০