বাগদাদ: ইরাকের একটি গির্জায় অতর্কিতে ঢুকে পড়ে আল কায়েদা জঙ্গিরা প্রার্থনারতদের জিম্মি করার পর আত্মঘাতী হামলা ও সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন নারী, সাতটি শিশু ও দুইজন যাজক রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা ও প্রত্যদর্শীদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া আহত হওয়া লোকজনের মধ্যেও নারী-শিশু রয়েছে।
রোববার বাগদাদের একটি গির্জায় অতর্কিতে হানা দিয়ে আল কায়েদা সেখানে প্রার্থনারত সবাইকে জিম্মি করে ফেলে । পরে ইরাকি ও মার্কিন বাহিনী গির্জাটি ঘিরে ফেলে এবং জঙ্গিদের সঙ্গে রোববার প্রচণ্ড সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পাশাপাশি জঙ্গিরা গির্জার ভেতর আত্মঘাতী গ্রেনেড হামলাও চালায়।
স্থানীয় টিভি চ্যানেল আল-বাগদাদিয়া জানান, নিজেকে হামলাকারী দাবি করে তাদের অফিসে এক জঙ্গি ফোন দিয়েছিলো। ওই জঙ্গি ইরাকের আল কায়েদা শাখার সদস্য বলে জানিয়েছে।
চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানান, নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে অস্ত্রধারীরা ১২০ জন প্রার্থনাকারীকে জিম্মি নেয়। পরে ইরাকি ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তাদের মুক্ত করা হয়। চার ঘণ্টাব্যাপী জঙ্গি ও সেনাদের মধ্যে লড়াইয়ের পর এই উত্তেজনার অবসান হয়। এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ জানান, বন্দুকধারীরা গির্জায় প্রবেশ করে প্রথমেই যাজককে গুলি করে মেরে ফেলে। তিনি বলেন, ‘সামরিক পোশাক পরে অস্ত্রসহ জঙ্গিরা গির্জায় প্রবেশ করে। এরপর প্রার্থনার ঘরে যায়। সেখানে সঙ্গে সঙ্গেই যাজককে গুলি করে। ’
প্রত্যদর্শীরা জানান, তার দুটি বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। অস্ত্রধারীরা গ্রেনেড ও আত্মঘাতি হামলা চালিয়েছে।
এর আগে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গির্জায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জন বলে জানানো হয়েছিলো।
কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মধ্য বাগদাদের সায়িদাত আল-নেজাত গির্জায় এ হামলার ঘটনায় আটজন বন্দুকধারীর সবাই নিহত হন। প্রার্থনাকারীদের উদ্ধার করতে ইরাকি ও মার্কিন সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১০