ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এবার নৃত্যপটু রোবট!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১০

ইলসান: নৃত্যপটু মানুষ আর তাদের নাচের সঙ্গে আমরা পরিচিত। তাদের নাচ দেখলে যারপরনাই আন্দোলিত হয় আমাদের শরীর-মন।

তবে এসবের জন্য নাচিয়ে মানুষের ওপর নির্ভরতা আর নয়। চলে এসেছে রোবট!

চলতি বছর ২৮-৩১ অক্টোবর সিউলের উত্তরের ইলসানে আয়োজিত উৎসবে ১২০টি প্রতিষ্ঠান ও ৮ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়।

‘দারুণ!’ বিখ্যাত একটি কোরীয় গানের তালে তালে পাঁচটি রোবট লাল-নীল আলো ছড়িয়ে নাচতে শুরু করলে দশর্কের সারি থেকে এমনই উচ্ছ্বসিত মন্তব্য শোনা যায়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় রোবট উৎসবে মানুষের মতো দেখতে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার লম্বা এই রোবট নৃত্যশিল্পীর দল তাদের কৃতিত্বের জন্য উচ্ছ্বসিত সংবর্ধনা পায়।    

অনুষ্ঠানের আরেক প্রান্তে এই রোবটদের ফুটবল খেলতে দেখা যায়। এসময় মানুষের মতোই হেরে যাওয়া রোবটরা রাগে তাদের মাথা আঁকড়ে ধরছিলো এবং জয়ী রোবটরা আনন্দে লাফিয়ে উঠছিলো।  

২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবে প্রতিবছর এক লাখ ২০ হাজার দর্শনার্থী ও ৬ হাজার অংশগ্রহণকারী আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়।

হ্যানল রোবটিকসের প্রকৌশলী হ্যাক-সো বলেন, ‘প্রতি বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এটা আমাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য একটি বড় সুযোগ। ’

হ্যানল রোবটিকস প্রেসিডেন্টের বাসভবনের পর্যটক গাইড হিসেবে কাজ করার জন্য তিরো নামের রোবট তৈরি করে।

এদিকে, প্রযুক্তি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ উৎসব পরিদর্শন করেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক হায়ান ইয়ুন-ডাক বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে রোবটের নিশ্চিতভাবে অনেক উন্নতি হয়েছে। তারা এখন অনেক বেশি মানুষের মতো। রোবটে ব্যবহৃত প্রযুক্তি বিস্ময়কর এবং রোবটগুলো চোখ ধাঁধানো বলে আমার শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেছে। ’  

উৎসবে রোবটের সংবেদনশীলতা ও গতির দক্ষতা পরীক্ষার জন্য নাচ, দৌঁড় প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।

কোরিয়ার মর্যাদাসম্পন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের গবেষক রোহ সয়াং-সু বলেন, ‘রোবটদের প্রতিযোগিতা দেখতে গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি মানুষ এসেছে। প্রতিযোগিতার গুণগত মান আগের তুলনায় নিশ্চিতভাবে অনেক উন্নত হয়েছে। ’

এছাড়াও কোরিয়ান মোটর ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, স্পেন এবং জাপানের রোবট চোখ ধাঁধানো নাচের আসর ও যুদ্ধ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

তবে পেশাদার ছাড়াও নিজেদের নকশা করা রোবট নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

দেশটির দক্ষিণপূর্বের গিয়েংজু শহরের শিক্ষার্থী লিম চায়ে-হায়ান (১০) বলে, ‘আমি এখানে অংশ নিয়েছি কারণ আমি রোবট ভালবাসি। আমি গত বছর থেকেই অংশ নিয়ে আসছি এবং আবারও নিতে চাই। এটা কঠিন হলেও নিঃসন্দেহে মজার। ’

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।