বিকাশমান ব্রিকস জোটের নেতারা ব্রাজিলে এক শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির প্রেক্ষাপটে ব্রিকস জোট নিজেকে বহুপাক্ষিকতার রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।
রবিবার (৬ জুন) থেকে রিও ডি জেনিরোতে শুরু হওয়া দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতারা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে পশ্চিমা আধিপত্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নেতারা পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
এখন বিআরআইসিএস বা ব্রিকস এর পূর্ণ সদস্য সংখ্যা ১১, যার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নতুন সদস্য রাষ্ট্র ইরান, মিশর, সৌদি আরব প্রভৃতি।
২০১২ সালে পর এই প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্যক্তিগতভাবে ব্রিকস সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না। তার পরিবর্তে প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী লি কোয়াং অংশ নিচ্ছেন।
তবে এবারের সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুপস্থিতি গোষ্ঠীর ঐক্য এবং প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে ভূমিকার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে পুতিনের উপস্থিতি সম্ভব হয়নি, কারণ ব্রাজিল রোম সংবিধির স্বাক্ষরকারী হিসেবে তাকে আটক করার বাধ্যবাধকতায় পড়তো।
এই সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ে রয়েছে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতি। কিছু সদস্য দেশ গাজায় ইসরায়েলের পদক্ষেপ এবং ইরানের ওপর হামলার বিরুদ্ধে আরও দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য সত্ত্বেও, এই গোষ্ঠী একটি বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা এবং গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল দেশের জন্য আরও দৃশ্যমান ভূমিকার পক্ষে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও তাদের প্রকৃত বৈশ্বিক প্রভাব এখনও অনিশ্চিত।
এমএম