তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দখলদার ইসরায়েলের চারটি কৌশলগত স্থাপনায় একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী হুথি। হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে পাঁচটি ড্রোন ও একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার নাম ‘প্যালেস্টাইন-২’।
বুধবার (৩০ জুলাই) একাধিক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সামরিক বাহিনী। তারা জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, প্রথম হামলাটি চালানো হয় ইসরায়েল অধিকৃত ইয়াফা অঞ্চলে। দুটি ড্রোন ব্যবহার করে সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানা হয়। পরবর্তী হামলায় আশকেলন ও নেগেভ (নাকাব) অঞ্চলের ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আরও তিনটি ড্রোন পাঠানো হয়।
তিনি দাবি করেন, সব অভিযানই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার সারি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত গাজায় আগ্রাসন ও অবরোধ চলবে, ততদিন ইয়েমেনি হামলাও চলবে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।
পৃথক এক বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি আরও জানান, তেলআবিবে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যা বিমান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।
সরকার-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহর খবরে বলা হয়, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়, সেটি ছিল ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামে একটি নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইয়াহিয়া সারির ভাষায়, আল্লাহর কৃপায় এই অভিযান সফল হয়েছে। হামলার পর লক্ষাধিক দখলদার ইসরায়েলি আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন ও গাজা অবরোধের প্রেক্ষাপটে এই প্রতিক্রিয়ামূলক হামলা চালানো হয়েছে। ইয়েমেন একটি আরব রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোকে ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব মনে করে। তাই ভবিষ্যতেও এই ধরনের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমজে