পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানলে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৮৩ হাজার হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে। দাবানলে বসতবাড়ি, যানবাহন ও কৃষি খামার ব্যাপকহারে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গত ২০ দিন ধরে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বনাঞ্চলে দাবানলের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহ দাবানল পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় দমকলকর্মীদের পাশাপাশি দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যুক্ত রয়েছেন।
১৮ আগস্ট পাওয়া তথ্য মতে, ১১টি স্থানে দাবানল সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। তিন হাজারের বেশি দমকল কর্মী, এক হাজারের বেশি অগ্নিনির্বাপক যানবাহন এবং একটি অগ্নিনির্বাপক উড়োজাহাজের মাধ্যমে দাবানল নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জাতীয় জরুরি ও বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের তথ্যে জানা গেছে, দাবানলে ভিসেউ জেলার সাঁতাঁও, সার্নান্সেলহে, মইমেন্তা দা বেইরা, পেনেদোনো, সাও জোয়াও দা পেশকেইরা এবং গার্ডা জেলার আগুইয়ার দা বেইরা, ত্রানকোসো, ফোর্নোস দে আলগোদ্রেস, মেদা, সেলোরিকো দা বেইরা ও ভিলা নোভা দে ফজ কোয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া ব্রাগান্সার ফ্রেইশো দে এস্পাদা আ সিন্তা, গার্ডার সাবুগাল ও পেরা দো মোসো, ভিসেউ জেলার তারুকা এবং ভিলা রিয়ালের মন্ডিম দে বাস্টোতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে হাজারও প্রচেষ্টার পরও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ঘরবাড়ি ও কৃষি খামার নিরাপদ রাখার জন্য দমকলকর্মীরা বিশ্রামবিহীনভাবে কাজ করছেন। দাবানল পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করে কাজে ফিরেছেন।
আরএইচ