ঢাকা, শুক্রবার, ৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

চীন কি পাকিস্তান-তালিবান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২০, আগস্ট ২১, ২০২৫
চীন কি পাকিস্তান-তালিবান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারবে? চীন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক

পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত বুধবার কাবুলে সাক্ষাৎ করেছেন। একটি ছবিতে তাদের হাতে হাত রেখে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

গত তিন মাসে এটি তাদের দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে তারা মে মাসে বেইজিংয়ে বসেছিলেন।

সেই বৈঠকের ফলেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এক সময়ের তীব্র উত্তেজনার অবসান ঘটে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি, আলোচনায় উঠে আসে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণের বিষয়টি।

এই করিডোর চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভেরই (বিআরআই) অংশ। এই উদ্যোগ বন্দর, রেলপথ ও মহাসড়কের মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টার মধ্য দিয়ে চীনের এক ধরনের অস্বস্তিও প্রকাশ পাচ্ছে। কারণ, সিপিইসি করিডোরের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। যদিও ইসলামাবাদ ও কাবুল উভয়ের জন্যই বেইজিং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তবু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীনের প্রকৃত প্রভাব এখনো পরীক্ষার মুখে পড়েনি। একইভাবে অনিশ্চিত রয়ে গেছে চীনের ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতাও।  

যদি তারা পাকিস্তান ও তালিবানকে আবারও আস্থার সম্পর্কে ফিরিয়ে আনতে চায়, তবে সেই পথ হবে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। তারা একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। কিন্তু এখন তাদের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

আঞ্চলিক সমীকরণের পরিবর্তন

বেইজিংয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে টানা চার দিনের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে। তবে তারপর থেকে আঞ্চলিক কূটনীতির দাবার ছকে অনেক কিছুই বদলে গেছে।

গত কয়েক মাসে পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র হলো চীনের প্রধান বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী। পাকিস্তানকে দীর্ঘদিন ধরে চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য প্রতিবেশী দেশটির ওপর নির্ভরশীল হিসেবে দেখা হতো।

অন্যদিকে চীন আবারো হাত বাড়িয়েছে ভারতের দিকে। দেশটি পাকিস্তানের চিরশত্রু এবং আঞ্চলিক প্রভাবের ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের মূল প্রতিযোগী। এরসঙ্গে ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় থাকা তালিবান সরকারের সঙ্গে ভারতও সম্পর্ক জোরদার করছে।

এদিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক এখনো টানাপোড়েনে ভরা। ইসলামাবাদ একসময় তালিবানের প্রধান সমর্থক ছিল। এখন তাদের অভিযোগ, তালিবান সীমান্তপারের হামলাকারী গোষ্ঠীগুলোকে নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে। অন্যদিকে আফগানিস্তান অভিযোগ করছে, পাকিস্তান আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

এই প্রেক্ষাপটে চীন নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজের অবস্থান তুলে ধরছে। এর মূল কারণ হলো সিপিইসি (চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর)। ৬২ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প পাকিস্তান-চীন সীমান্ত থেকে শুরু হয়ে বেলুচিস্তানের গওয়াদর বন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত।

চীন ও আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনার বিষয়ে সরাসরি জানেন, এমন এক জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি কূটনীতিক আল জাজিরাকে বলেন, চীন, যেহেতু এই দুই দেশের প্রতিবেশী, তাই সে প্রতিবেশী দেশের কূটনীতির ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তার মতে, চীনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, চীন তার বৃহত্তর বিআরআই প্রকল্প এগিয়ে নিতে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। পশ্চিমমুখী সংযোগ ও উন্নয়ন তখনই সফল হতে পারে, যখন দুই দেশসহ এই অঞ্চল স্থিতিশীল হয়।

তিনি যোগ করেন, নিরাপত্তা না থাকলে উন্নয়ন ও যোগাযোগ সম্ভব নয়। তাই দুই প্রতিবেশীকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে চীন।

চাপে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর

২০১৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আমলে চালু হওয়া চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরকে অনেকে পাকিস্তানের জন্য এক গেম-চেঞ্জার হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। এটি এক বিশাল বিনিয়োগ, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতি গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। নওয়াজ শরিফ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বড় ভাই।

গত কয়েক বছরে প্রকল্পটির গতি কমে গেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিইসির দ্বিতীয় ধাপ উদ্বোধন করবেন।

রাজনৈতিক অস্থিরতা অগ্রগতিতে বাধা দিলেও চীনের মূল উদ্বেগ রয়ে গেছে অবকাঠামোর নিরাপত্তা এবং তাদের নাগরিকদের সুরক্ষা, যারা প্রায়ই হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ও দরিদ্রতম প্রদেশ বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো বহুদিন ধরে চীনা কর্মী ও স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, চীনারা স্থানীয় সম্পদ শোষণ করছে। পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলেও চীনা নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সরকারি হিসাবে, বর্তমানে পাকিস্তানে প্রায় ২০ হাজার চীনা নাগরিক বসবাস করছেন। ২০২১ সাল থেকে দেশজুড়ে হামলায় অন্তত ২০ জন চীনা নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ব্লুমিংটনের সহকারী অধ্যাপক স্টেলা হং ঝ্যাং চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা করেন। তার কথা হলো, চীন বহুদিন ধরে আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, যেন প্রকল্পটির পরিসর বাড়ে এবং আঞ্চলিক একীকরণ জোরদার হয়।

ঝ্যাং আরও বলেন, বেইজিং আসলেই আফগানিস্তান বা পাকিস্তানে বড় বিনিয়োগ করবে কি না, তা অনিশ্চিত। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, চীন হয়তো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু যদিও আমরা চীনের কূটনৈতিক তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি, তা সত্ত্বেও নিশ্চিত নয় দুই দেশের কর্মকর্তারা আদৌ চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোকে আরও প্রকল্পে বিনিয়োগে রাজি করাতে পারবেন কি না। এর কারণ হলো সিপিইসির হতাশাজনক রেকর্ড এবং দুই দেশের বড় ঝুঁকি।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির দক্ষিণ এশিয়া নিরাপত্তা গবেষক মুহাম্মদ ফয়সাল বলেন, চীনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার উন্নতি।

তিনি আল জাজিরাকে বলেন, এই উদ্বেগই বেইজিংকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক উন্নতির দিকে ঠেলছে, যেহেতু তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) আফগান মাটি থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে, আর বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও আফগানিস্তানে জায়গা করে নিয়েছে।

তার ভাষায়, উচ্চপর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে বেইজিং চাইছে ইসলামাবাদ-কাবুলের বিভেদ কমাতে এবং উভয় পক্ষকে উৎসাহিত করতে যেন তারা একে অপরের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ মোকাবিলা করে সম্পর্কের ভাঙন ঠেকাতে পারে।

২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তালিবান (টিটিপি) আফগান তালিবানের সঙ্গে আদর্শগতভাবে ঘনিষ্ঠ হলেও স্বাধীনভাবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান দুই দেশেই কার্যক্রম পরিচালনা করে।

তালিবান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে যে তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার জন্য তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিচ্ছে। তারা টিটিপির সঙ্গে যে কোনো সম্পর্ক থাকার কথাও অস্বীকার করেছে।

নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ

২০২১ সালের আগস্টে তালিবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে সহিংসতা হঠাৎ বেড়ে গেছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী দুই প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে।

ইসলামাবাদ বারবার অভিযোগ করে আসছে যে আফগান মাটি ব্যবহার করে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, বিশেষত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালাচ্ছে।

ইসলামাবাদভিত্তিক পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজেড় এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে মোট ৫০২টি সশস্ত্র হামলায় ৭৩৭ জন নিহত হয়েছেম। নিহতদের মধ্যে ২৮৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ২৬৭ জন সাধারণ নাগরিক।

২০২৪ সালের প্রথম অর্ধেকের তুলনায় হামলা বেড়েছে ৫ শতাংশ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ১২১ শতাংশ, আর আহত বেড়েছে ৮৪ শতাংশ।

চীনও উদ্বেগ জানিয়েছে ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নিয়ে। তাদের দাবি, এই গোষ্ঠীর যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে চীনের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক আবদুল বাসিত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর দক্ষিণ এশিয়ায় চীন প্রধান ভূরাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসেবে উঠে এসেছে।

তিনি আল জাজিরাকে বলেন, পাকিস্তানের আফগান-কেন্দ্রিক নিরাপত্তা উদ্বেগ সমাধান না হলে বিআরআইয়ের পাকিস্তান অংশ অর্থাৎ সিপিইসি ঠিকঠাক কাজে লাগবে না। এজন্যই চীন ত্রিপক্ষীয় আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে, যেন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়। এ নীতিতে অর্থনীতি ও কূটনীতিকে নিরাপত্তাজনিত ঝামেলা থেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।  

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গবেষক মুহাম্মদ ফয়সাল বলেন, চীন রাজনৈতিকভাবেও প্রভাব খাটাচ্ছে। তারা বহুপক্ষীয় সংস্থায়, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতায় পাকিস্তানকে কূটনৈতিক সমর্থন দিচ্ছে এবং অর্থনৈতিক সুবিধার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে।

তবে তার মতে, বেইজিংয়ের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সীমিত। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা সমন্বয় বাড়িয়ে স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরলেও চীনের প্রচেষ্টার ফল এখনো সীমিত। এর একটি কারণ হলো চীনের নিজেদের নিরাপত্তাজনিত সংশয়।

এক জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেন, চীনের বিআরআই ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আর্থিক হাতিয়ার কাজে লাগিয়ে চীন পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, যদিও এখন পর্যন্ত সাফল্য সীমিত।

তবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীন কি সত্যিই মধ্যস্থতাকারী ও গ্যারান্টরের ভূমিকা নেবে? এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ওই কূটনীতিক।

তার ভাষায়, গ্যারান্টর হিসেবে কাজ করার সামর্থ্য চীনের আছে, কারণ তারা দুই পক্ষের কাছেই যথেষ্ট আস্থাভাজন। কিন্তু চীন আসলেই সে ভূমিকায় নামবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।