নমপেন: কম্বোডিয়ায় জলোৎসব চলাকালে ছত্রভঙ্গ জনতার ভিড়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির রাজধানী নমপেনে সোমবার গভীর রাতে মর্মান্তিক ওই ঘটনা ঘটে।
গত ২০ বছরে সংঘটিত এ ধরনের কিছু ভয়াবহ বিপর্যয়ের কথা তুলে ধরা হলো। উল্লেখ্য, এর অধিকাংশই খেলা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছত্রভঙ্গ জনতার ভিড়ের কারণে সংঘটিত।
- ২ জুলাই, ১৯৯০, সৌদি আরব: মক্কার দেিণ হজের সময় ছত্রভঙ্গ জনতার ভিড়ে পদদলিত হয়ে এক হাজার ৪২৬ জন হাজি নিহত হন। উচ্চ তাপমাত্রায় বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় ভীত জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে ওই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
- ২৪ মে, ১৯৯৪, সৌদি আরব: হজের অংশ হিসেবে মিনাতে শয়তানের বিরুদ্ধে পাথর ছোঁড়ার সময় জনতার ভিড়ে ২৭০ জনের মৃত্যু হয়।
- ১৩ আগস্ট, ১৯৯৪, কঙ্গো-ব্রাজ্জাভিল: গির্জায় ধর্মীয় অভিভাষণের সময় আতঙ্কিত জনতার ভিড়ে পদদলিত বা দমবন্ধ হয়ে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়। এদের অধিকাংশই ছিলো শিশু।
- ১৬ অক্টোবর, ১৯৯৬, গুয়াতেমালা: গুয়েতেমালা সিটির ম্যাথিও ফোরেস ফুটবল স্টেডিয়ামে জনতার ভিড়ে পদদলিত হয়ে ৯০ জনের মৃত্যু হয়। ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফিকেশন ম্যাচের আগে এ ঘটনা ঘটে।
- ৯ এপ্রিল, ১৯৯৮, সৌদি আরব: আবারও মিনায় জনতার ভাড়ের কারণে ১১৮ জনেরও বেশি হাজি নিহত হন।
- ৯ মে, ২০০১, ঘানা: দেশটির রাজধানী অ্যাকরার এক স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ চলাকালে জনতার ভিড়ে পদদলিত হয়ে ১২৬ জনের মৃত্যু হয়।
- ১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪, সৌদি আরব: মিনায় জনতার ভিড়ে পদদলিত হয়ে ২৫১ জন হাজির মৃত্যু হয়।
- ২৫ জানুয়ারি, ২০০৫, ভারত: মুম্বাই থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে স্যাতারা জেলায় হিন্দুদের তীর্থযাত্রার সময় জনতার চাপে পদদলিত হয়ে ২৫৭ জন নিহত হন।
- ৩১ আগস্ট, ২০০৫, ইরাক: বাগদাদের এক তীর্থযাত্রার সময় জনতার ভিড়ে পদদলিত হয়ে বা পানিতে ডুবে এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তাইগ্রীস নদীর উপর সেতুতে দু’জন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী থাকার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর সেতুতে থাকা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের হুড়োহুড়িতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
- ১২ জানুয়ারি, ২০০৬, সৌদি আরব: হজের সময় মিনাতে পাথর ছোঁড়ার সময় জনতার ভিড়ে অন্তত ৩৬৪ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হন।
- ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬, ফিলিপাইন: একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য ম্যানিলার একটি স্টেডিয়ামে লাইনে গা ঘেষে দাঁড়ানো ৩০ হাজার মানুষের ভীড়ে ৭৪ জন নিহত ও ৪০০শ’রও বেশি আহত হন।
- ৩ আগাস্ট, ২০০৮, ভারত: হিমাচল প্রদেশের একটি মন্দিরে ভূমিধসের গুজব ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত জনতার চাপে ১৫০ জন প্রার্থনাকারী নিহত হন। এদের অধিকাংশই ছিলো শিশু।
- ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৮, ভারত: রাজস্থানের একটি হিন্দু মন্দিরের ভেতর পদদলিত হয়ে ২২৪ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়।
- ৪ মার্চ, ২০১০, ভারত: উত্তর প্রদেশের একটি মন্দিরের একটি দরজা ভেঙ্গে পড়লে সেখানে উপস্থিত ১০ হাজার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনতার ভিড়ে ৬৩ জন নিহত হন, যাদের সবাই নারী ও শিশু।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪০৮ ঘন্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০