ইয়নপিয়ং দ্বীপ: চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার হামলা চালানো ছোট দ্বীপ ইয়নপিয়ং খালি হতে শুরু করেছে। পীত সাগরে যৌথ নৌমহড়াকে সামনে রেখে শুক্রবার স্থানীয়রা তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবারের হামলার পর ১ হাজার ৪০০ বাসিন্দার অধিকাংশকেই বন্দর শহর ইনচেওনে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে দ্বীপটিতে মাত্র ৪৭ জন বাসিন্দা আছেন। তবে রোববার পশ্চিমের জলসীমায় নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার নৌমহড়াকে সামনে রেখে আরও হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দ্বীপটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা চাওই চেওল-ইয়ং বলেন, ‘গত রাতে আমরা দ্বীপের প্রতিটি বাড়িতে গিয়েছি। দ্বীপটিতে বর্তমানে কতজন বাসিন্দা আছেন তা দেখার জন্য আমরা তাদের বাড়িতে যাই। ’
তবে ১০০ জন সেনা ও সরকারি কর্মচারীদের এ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তারা সেখানে পরিষ্কার ও মেরামত কাজে নিযুক্ত আছেন। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া দ্বীপটিকে লক্ষ্য করে কামান ছুঁড়লে এর পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং ২২টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে দ্বীপটিতে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে। এর অংশ হিসেবে ডজনের মত কর্মকর্তাকে পাহারার কাজে নিয়োজিত করা হয়।
এদিকে হামলায় দ্বীপটির বাসিন্দাদের জীবিকার প্রধান উৎস ধ্বংস হয়ে গেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক ও জেলে। তাই তাদের বর্তমানে খাবার ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির জন্য বাইরের সরবরাহের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আসন্ন মহড়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে গোলা ছোঁড়া হয় বলে উত্তর কোরিয়া দাবি করে। উত্তরের এ হামলায় দ্বীপটিতে দু’জন বেসামরিক নাগরিক ও দু’জন নৌসেনা নিহত হন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০