সিউল: মানবিক সাহায্যের তীব্র প্রয়োজনীয়তা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া দিন দিন নিজেকে আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। উত্তর কোরিয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত শুক্রবার দেশটির প্রতি এ সতর্কবার্তা জারি করেন।
চলতি বছরে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া যান মারজুকি দারুসম্যান। কিন্তু তাদের পূর্বসূরীদের মতই উত্তর কোরিয়ায় তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘যখন উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন তখন তারা নিজেদের আরও বিচ্ছিন্ন দেখতে চায়না বলেই আমি আশা করি। এসময় মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করা ও মানবিক সাহায্য উভয়ই তাদের প্রয়োজন। ’
বিরোধপূর্ণ সীমান্তবর্তী দ্বীপে দক্ষিণকে লক্ষ্য করে উত্তরের গুলি ও রকেট হামলার কয়েকদিন পরই দারুসম্যান এ মন্তব্য করলেন।
এদিকে আগস্টে উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ বন্যার পর দক্ষিণ কোরিয়া মানবিক সাহায্যের অংশ হিসেবে দেশটিকে ৫ হাজার টন চাল ও ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট প্রস্তাব করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে দক্ষিণের ইয়নপিয়ং দ্বীপে মঙ্গলবারের আক্রমণের পর সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক সত্ত্বেও মানবিক সাহায্য সরবরাহ অব্যাহত রাখা জরুরি বলে দারুসম্যান মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের কাছে ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
উত্তরের কঠোর অবস্থানের জন্য এ পর্যন্ত ২০ হাজার জনগণ দক্ষিণে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। এর মধ্যে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ২ হাজার ২৭ জন পালিয়ে আসেন। এর মধ্যে অনেকে মানব পাচারকারীর কবলে পড়েন এবং শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক হামলায় দু’জন নৌসেনা ও দু’জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৮ জন আহত হন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০