ইয়াঙ্গুন: মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রি অং সান সুচিকে অবশেষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকালে সামরিক জান্তা গৃহবন্দী দশা থেকে তাকে মুক্তি দেয়।
কর্তৃপক্ষ জানান, শনিবার সরকারি কর্মকর্তারা লাল কাগজের ছাড়পত্র নিয়ে সুচির বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় ওই কর্মকর্তা কারো নাম উল্লেখ না করেই ঘোষণা করেন, ‘তিনি এখন মুক্ত’।
মুক্তর পর সুচি তার লেকসাইডের বাড়িতে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ান। পরে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসেন। এসময় বাড়ির বাইরে অসংখ্য মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানান।
বিপুল হর্ষধ্বনি এবং হাততালি দিয়ে জনতা অভিবাদন জানান তাদের প্রিয় নেত্রীকে। এসময় কেউ কেউ তার উদ্দেশ্যে ফুল ছুঁড়ে মারেন। সুচি সেগুলো তুলে তার খোঁপায় তুলে নেন। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন পর আপনাদের দেখে খুব ভালো লাগছে।
তিনি সমর্থকদের রোববার তার দলের প্রধান কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড কেমেরন সুচির মুক্তির বিষয়ে বলেন, ‘তার মুক্তি দীর্ঘ প্রতিক্ষার ফসল। আমরা যারা বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার চাই তাদের জন্য অং সান সুচি অনুপ্রেরনার অংশ। ’
এর আগে পুলিশ সুচির বাড়ির সামনে থেকে ব্যারিকেড তুলে নিতে শুরু করলে হর্ষধ্বনি দিতে দিতে তার বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে সমাবেত জনতা। প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার জন্য এসময় তার বাড়ির বাইরে উত্তেজিত ভক্ত-সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন।
এ বাড়িতেই দুই দশকের বেশি সময় তাকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলেন দেশটির সামরিক জান্তা সরকার।
২০০৯ সালে আগস্টে সুচির গৃহবন্দীর মেয়াদ আরও ১৮ মাস বাড়ানো হয়। অপ্রত্যাশিতভাবে এক মার্কিনি সাঁতারো তার হ্রদের পাশের বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করার পর তার শাস্তির মেয়াদ বাড়ায় জান্তা সরকার।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১০