নিউইয়র্ক: শিশু কৃষ্ণগৃহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন মহাকাশ সংস্থা নাসার একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। সংস্থাটির চন্দ্র এক্স-রশ্মি মানমন্দির সবচেয়ে কমবয়সী এ কৃষ্ণগহ্বর পাওয়ার দাবি করেছে।
এর মাধ্যমে শিশু বয়স থেকে এ ধরনের বস্তু কিভাবে বিকশিত হলো তা দেখার বিরল সুযোগ পাওয়া যাবে। কৃষ্ণগহ্বরটির বয়স মাত্র ৩০ বছর।
বিরাটকায় নক্ষত্রগুলো কিভাবে বিস্ফোরিত হলো বিজ্ঞানীরা এ থেকে জানতে পারবেন। আমাদের মহাবিশ্বের ছায়াপথ ও অন্য স্থানে ছায়াপথের সংখ্যাও জানা যাবে।
এম১০০ নামের ছায়াপথের ৩০ বছর বয়সী এসএন ১৯৭৯সি সুপারনোভাটি (অতিকায় নবনত্র) পৃথিবী থেকে ৫ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। নাসার দ্রুতগামী উপগ্রহ চন্দ্র, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এক্সএমএম নিউটন, জার্মানির রোসাট মানমন্দির যৌথ অনুসন্ধানে এক্স-রশ্মির উৎসের সন্ধান পেয়েছেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করার সময় রশ্মিগুলো অপরিবর্তিত ছিলো। এরপর বিজ্ঞানীরা প্রস্তাব দিচ্ছেন, সুপারনোভা থেকে বস্তুর পতনের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া এটি একটি কৃষ্ণগহ্ব।
কেমব্রিজের হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস-এর গবেষক ড্যানিয়েল প্যাটনাউডে বলেন, ‘যদি আমাদের ব্যাখ্যা সঠিক হয়, তাহলে এটাই সবচেয়ে কমবয়সী কৃষ্ণগহ্বরের জন্মের উদাহরণ। ’ তিনি এ গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন। কেমব্রিজ থেকে চন্দ্রের বিজ্ঞান ও উড্ডয়ন অভিযান পরিচালনা করে স্মিথসোনিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিকস অবজারভেটরি।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এসএন ১৯৭৯সি সুপারনোভাটি ১৯৭৯ সালে একজন অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন।
নাসার জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান জন মোর্স বলেন, ‘মহাকাশে চন্দ্রের মতো একটি সবচেয়ে উন্নত টেলিস্কোপের অঙ্গীকার পূরণ অত্যন্ত আনন্দদায়ক। ’
এর আরও দুই গবেষক হচ্ছেন, আব্রাহাম লোয়েব ও ক্রিস্টিন জোনস। তাদের গবেষণাপত্র নিউ অ্যাস্ট্রোনমি নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১০