মস্কো: অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিশুরা তাদের পিতামাতার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। রাশিয়ার অ্যালতায় অঞ্চলে এরকমই একটি খবর পাওয়া গেছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, মা (৩১), সৎ বাবা ও পাঁচ ভাইবোনের সঙ্গে বালকটি থাকত। তার মা-বাবা মদাসক্ত। ছেলেটি বারবার তাদের সতর্ক করে বলেছিলো, তারা যদি মদ্যপানের অভ্যাস না পরিহার করে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে।
নভেম্বরের ১১ তারিখে তার বাবা-মা তাদের নিয়ে বেড়াতে যায়। একসময় ছেলেটি তাদের মদ্যপান না করতে অনুরোধ করে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্যও বলে। কিন্তু তারা শোনেনি।
পরদিন সকালে তার মা ছেলেকে গোলাঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আবিষ্কার করেন।
অ্যালতায় অঞ্চলের তদন্ত কমিটির আইনজীবীরা ছেলেটির বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। রাশিয়ার আইন অনুযায়ী এটা ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’-র অপরাধ। সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে এ আইন রয়েছে।
মনোবিজ্ঞানী ইগর ইয়ানুসেভ প্রাভদা পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। দেশের যতবেশি লোক মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে, ততই শিশু ও কিশোরদের আত্মহত্যার হার বাড়ছে। শিশুরা জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্যরেখা বুঝতে সক্ষম নয়। শিশুদের অন্তরের জগৎ অত্যন্ত নরম। একজন শিশুর মা মদ্যপান করল কি করল না তা সে বুঝতে চায় না। মাকে সে প্রচণ্ড ভালোবাসে। আমি এ ধরনের অনেক ঘটনা দেখেছি। `
তিনি বলেন, ‘উদারহণস্বরূপ বলা যায়, আরখানগেলস্ক অঞ্চলে ন’বছর বয়সী এক বালিকা পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করার আগে একটি চিরকুট লিখে যায়। এতে সে তার বাবাকে মদ্যপান না করার অনুরোধ করে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১০