ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বক্তৃতা করবেন চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও। তিন দিনের সফরের শেষ দিন রোববার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই বক্তৃতা করবেন তিনি।
জিয়াবাও’র সফরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। মূলত জঙ্গি হামলা এড়াতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ সফরে এরইমধ্যে ৩৫ হাজার ডলারের চুক্তি করেছে দেশ দুটির নেতারা। এ সময় পাকিস্তানের বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং জ্বালানি সমস্যা সমাধানের উপর অধিক জোর দেওয়া হয়।
এদিকে শনিবার জিয়াবাও’র সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্ণ ভোজে বিপন্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সাহায্য করা থেকে কখনো সরে না আসার অঙ্গীকার করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও চীন-পাকিস্তানের সম্পর্ক টিকে আছে এবং তা আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কোনো অর্থেই আমরা এ সম্পর্ক নষ্ট করবোনা। ’
এর আগে শনিবার তিনি চীন-পাকিস্তান মৈত্রী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। পরে বিরোধী দলের নেতা নেওয়াজ শরীফসহ সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তবে চীনের এ সমর্থনের বিনিময়ে পাকিস্তানকে এর প্রতিদান দিতে হবে বলে স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তান সামনে থেকে লড়াই করবে বলে চীন দেশটির কাছে আশা করে থাকে। ’
‘চীনের পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গিবাদের বিস্তার বিষয়ে শঙ্কিত দেশটি। ’
উল্লেখ্য, এ অঞ্চলের কাশহাগার শহরে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র নির্মাণের ইচ্ছা আছে দেশটির।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০