ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মহড়া বাতিলের চাপ উপেক্ষা দ. কোরিয়ার, জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০
মহড়া বাতিলের চাপ উপেক্ষা দ. কোরিয়ার, জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ

ইয়ুনপিয়ুঙ্গ: দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী দ্বীপে ফাঁকা গুলি চালানোর মহড়া বাতিলে চাপ দিচ্ছে রাশিয়া ও চীন। তা স্বত্বেও মহড়া চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।

এদিকে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের মহড়া বাতিলের কোনো পরিকল্পনা নেই। ’

সিউলের একজন উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা রোববার জানান, ডিসেম্বর ২০-২১ তারিখে মহড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপর একজন যৌথ বাহিনীর প্রধান জানান, উত্তর কোরিয়ার হুমকি স্বত্ত্বেও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পীত সাগরের সীমান্তে সামরিক মহড়া চলবে। কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মহড়া চলবে।

বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে রোববার বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে আরও আগেই এধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিলো বলে ুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার জাতিসংঘের দূত ভিতালাই চুরকিন বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ধরনের পদক্ষেপ পরিষদের স্বাভাবিক নিয়ম বহির্ভূত। ’

এদিকে পীত সাগরের সীমান্তবর্তী ইয়ুনপিয়ুঙ্গ দ্বীপে মহড়া চালালে তা ‘বিপর্যয়কর’ হবে বলে হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

এরইমধ্যে রোববার ইয়ুনপিয়ুঙ্গের উপর দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সেনা বিমান উড়ে যেতে দেখা গেছে। এসময় নৌসেনারা তাদের সমুদ্রের পাশ্ববর্তী ব্যারাকে টহল দিচ্ছিলেন।

শনিবার এ বিষয়ে টেলিফোনে আলাপ করাসহ কোরীয় দ্বীপপুঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানায় চীন ও রাশিয়া।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াঙ্গ জিয়েসি বলেন, ‘চীন উত্তেজনা বেড়ে যাওয়া ও পরিস্থিতি খারাপ করার মতো যেকোনো পদক্ষেপের কঠোর বিরোধী এবং দ্বীপপুঞ্জের উভয় দেশকেই শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত থাকার দাবি জানাচ্ছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘কোরীয়দের যোগাযোগ ও আলোচনা করা উচিত এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা উচিত। ’   


উল্লেখ্য, গত মাসে উত্তর কোরিয়ার গোলা হামলা বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ুনপিয়ুঙ্গ দ্বীপে সংঘটিত এ হামলায় দুই নৌসেনা ও দু’জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুসহ বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকে চীন।

এদিকে আসন্ন বৈঠক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।