ঢাকা: শেতাঙ্গ প্রহরীর গুলিতে নিহত নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রাইভোন মার্টিনের জন্য সুবিচার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ শহরে সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।
এসব সমাবেশে ট্রাইভোন হত্যায় অভিযুক্ত এবং সম্প্রতি বেকসুর খালাস পাওয়া নৈশপ্রহরী জিম্যারম্যানের বিরুদ্ধে বেসামরিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ গঠনের জন্য প্রশানকে চাপ দেওয়া হবে।
‘জাস্টিস পর ট্রাইভোন’ শীর্ষক এই সমাবেশের আয়োজন করছে ‘দ্য রেভ. আল শার্পটোন’স ন্যাশনাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’ নামের একটি অধিকার সংগঠন।
সংগঠনটি জানিয়েছে ট্রাইভোনের মা ও ভাই নিউইয়র্কের সমাবেশে এবং তার বাবা মিয়ামির সমাবেশে যোগ দিবেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শেতাঙ্গ জিম্যারম্যানের গুলিতে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রাইভোন। তবে পুলিশে চাকরি প্রত্যাশী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী হিসেবে কর্মরত জিম্যারম্যানের দাবি, ট্রাইভোনের হামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতেই তাকে গুলি করেন তিনি।
আইনজীবীরা দাবি করেন, জিম্যারম্যান নিরস্ত্র কিশোর ট্রাইভোনকে অযৌক্তিকভাবে হত্যা করেন।
কিন্তু গত সপ্তাহে জিম্যারম্যানকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর।
এ ঘটনায় মুখ খুলেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। তিনি বলেন, ‘৩৫ বছর আগে আমারও ট্রাইভোনের পরিণতি হতে পারতো। ’ অর্থাৎ ট্রাইভোনের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা আমার সঙ্গেও হতে পারতো।
ওবামা আরও বলেন, এই ঘটনার বিপরীত চিত্রে যদি একজন শেতাঙ্গ কিশোর হত্যাকাণ্ডের শিকার হতো তবে তার ফলাফল-প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারতো। ’
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়, আদালতের রায়কে বর্ণবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে এখনও দেশটিতে বিক্ষোভ করে চলেছে হাজারো মানুষ।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, ‘ট্রাইভোনের মৃত্যু, জিম্যারম্যানের মুক্তি-এটাই কি গণতন্ত্র’ প্রভৃতি শ্লোগানে শ্লোগানে বিক্ষোভ করছেন প্রতিবাদীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com