ঢাকা: লিন্ডা ইভান ৫২ বছর পর খুজেঁ পেলো হারিয়ে যাওয়া মাকে। লিন্ডার ৭-৮ বছর বয়সের সময় তার মা নিখোঁজ হয়েছিলো।
লুসি জনসনকে (৭৭) সর্বশেষ দেখা গিয়েছিলো ১৯৬১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কানাডাতে। সম্প্রতি তাকে আবার খুঁজে পাওয়া গেলো কানাডার ইয়ুকোনে। সেখানে লুসি ইয়ুকোনে আবার বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন।
পুলিশ এতদিন মনে করেছে লুসি জনসনকে তার স্বামী হত্যা করেছিলো। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুরেতে লুসিকে সর্বশেষ দেখেছিলো তার এক প্রতিবেশী।
লুসি নিঁখোজ হওয়ার চার বছর পরেও তার স্বামী মার্ভিন পুলিশের কাছে কোনো রিপোর্ট করেনি। এটা জানার পরেই পুলিশ মার্ভিনকে সন্দেহের বশে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তার উপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করে।
কিন্তু পুলিশ লুসির নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে কোন সূত্র না খুঁজে পাওয়ার কারণে এ ঘটনা নিয়ে আর তেমন কিছু হয়নি। মার্ভিন ১৯৯০ সালের শেষের দিকে মারা যায়।
গত মাসে লুসির কন্যা লিন্ডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্থানীয় একটি পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপনের পরে পুলিশ নিঁখোজ হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা ঘাটতে গিয়ে লুসির নিখোঁজের ঘটনার নতুন সূত্র পেয়ে যায়।
এর অল্পকিছুদিন পরে রয়েল কানাডিয়ান পুলিশ লিন্ডার সৎবোনের একটি ফোন পায়। সে জানায় তার মা এখন ইয়ুকোনে আছে।
রয়েল কানাডিয়ান পুলিশ সদস্য বার্ট পাকুয়েট বলেন, ‘আমরা ইউকোনে তার সৎমেয়ের থেকে একটি ফোন কল পাই। সে জানায় যে পত্রিকায় নিঁখোজ হওয়া ব্যক্তির ছবি দেখেছে। এবং নিঁখোজ হওয়া ব্যক্তি তার মা। ’
পাকুয়েট এ খুঁজে পাওয়াকে ‘জীবন পরিবর্তনকারী’ ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
তবে কেন লুসি এভাবে কাউকে কিছু না বলে চলে গিয়েছিলেন তা জানতে পুলিশ এখনো তদন্ত করে যাচ্ছে।
হারানো মাকে খুজেঁ পাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে লিন্ডা বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি তার (লুসির) জীবনের অংশ হতে পারব। আমি তাকে জড়িয়ে ধরবো। আমার মনে হয় সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৩
সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর-
eic@banglanews24.com