ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাপী ইমেজ সংকটে গ্ল্যাক্সোস্মিথ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৩, জুলাই ২০, ২০১৩
বিশ্বব্যাপী ইমেজ সংকটে গ্ল্যাক্সোস্মিথ

ঢাকা: চীনে ঘুষ কেলেঙ্কারির পর ব্রিটেনের সর্ববৃহত ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বিশ্বব্যাপী ইমেজ সংকটে পড়েছে।

২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যে খাতে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির সঙ্গে গ্ল্যাক্সোস্মিথ জড়িত থাকার কারণে একই সংকটে পড়েছিল বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ এই ওষুধ কোম্পানি।

সেই বার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানার দিয়ে ফৌজদারি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিল গ্ল্যাক্সোস্মিথ।

এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিটি। চীনের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে দেশটির সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই দোষ স্বীকার করে জরিমানার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাতে যাচ্ছে লন্ডনভিত্তিক এই  কোম্পানি।

সে উদ্দেশ্যে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু উইটি শিগগিরই চীন সফরে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে যাচ্ছেন আরো বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ কর্মকর্তা।

জানা যায়, বিশাল এই ঘুষ কেলেঙ্কারির খবর বিশ্বব্যাপী ফাঁস হওয়ার পর অনেকটাই নমনীয় নীতি অবলম্বন করছেন প্রধান নির্বাহী। দেশে থেকেই তিনি চীনের দুর্নীতিবিরোধী এই পদক্ষেপকে সমর্থন এবং চীনা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।

এর আগে জিএসকে-র উদীয়মান অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আব্বাস হুসাইনসহ কয়েকজনকে পরিস্থিতি শীতল করার জন্য চীনে পাঠানো হলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।

এদিকে, সোমবার চীন জিএসকে শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াং হোং (৪৯) চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে (সিসিটিভি) এক সাক্ষাৎকারে ঘুষের বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেন।

খোদ ব্রিটেনের কয়েকটি প্রভাবশালী দৈনিক জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে কেলেঙ্কারির পর আরেকটি বড় ধাক্কা খেয়েছে জিএসকে। দৈনিকগুলোর ভাষ্য মতে,  চীনে শুধুমাত্র বড় ধরনের জরিমানার মাধ্যমেই ছাড়া পাচ্ছে না জিএসকে। এর সঙ্গে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চীনা অপরাধ আইনের আওতায় তাদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই জিএসকে-র চার কর্মকর্তাকে চীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘুষের কথা স্বীকারও করেছে।

গত সোমবার চীনের পুলিশ জিএসকের ঘুষ কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস করে। চীনের বাজারে জিএসকের ওষুধের বিক্রি বাড়ানো এবং দাম বৃদ্ধির জন্য ২০০৭ সালে বিশাল অঙ্কের টাকা ডাক্তার ও সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয় জিএসকে কর্তৃপক্ষ। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এসব ঘুষ দেওয়া হয় বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

চীনের জনসাধারণের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্থিক অপরাধ তদন্ত দলের প্রধান গাও ফেং এ ব্যাপারে জানান, ২০০৭ সালের পর থেকে সাত শতাধিক ট্রাভেল এজেন্সি ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪৯ কোটি ডলার স্থানান্তর করেছে জিএসকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ