ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সুবিচার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক শহরে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৫, জুলাই ২১, ২০১৩
সুবিচার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক শহরে বিক্ষোভ

ঢাকা: শেতাঙ্গ প্রহরীর গুলিতে নিহত নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রাইভোন মার্টিনের হত্যা মামলার সুবিচার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হাজারো মানুষ।

মানবাধিকার কর্মী রিভারেন্ড এল শার্পটনের উদ্যোগে শনিবার ‘জাস্টিস পর ট্রাইভোন’ শীর্ষক এসব সমাবেশের ‍আয়োজন করে অধিকার সংগঠন ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’।



এসব সমাবেশে ট্রাইভোন হত্যায় অভিযুক্ত এবং সম্প্রতি বেকসুর খালাস পাওয়া নৈশপ্রহরী জর্জ জিম্যারম্যানের বিরুদ্ধে বেসামরিক অধিকার লঙ্ঘন করায় প্রাদেশিক অভিযোগ গঠনের দাবি জানানো হয়।

নি‌উইয়র্কের সমাবেশে অংশ নিয়ে অধিকার কর্মী শার্পটন বলেন, “আমরা কোনো সহিংসতা ঘটানোর জন্য রাজপথে নামিনি, সহিংসতা বন্ধের দাবিতে নেমেছি। এই সহিংসতা হয়েছিল ট্রাইভোন মার্টিন নামের এক নিরস্ত্র কিশোরের ওপর। ’

নিউইয়র্ক ছাড়াও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে ফ্লোরিডা, আটলান্টা, শিকাগো, লস এঞ্জেলস এবং মিয়ামিসহ শতাধিক শহরে।

নিউইয়র্কের সমাবেশে অংশগ্রহণ করে ট্রাইভোনের মা সিবরিনা ফুলটন জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আজ আমার সন্তানের ভাগ্যে যা ঘটেছে আগামীকাল সেটা আপনার সন্তানদের ভাগ্যেও ঘটতে পারে। ’

এ জন্য নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য সোচ্চার হওয়ার ‍আহবান জানান তিনি।

এখানকার সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনন্দিত ৠাপার (ৠাপ সঙ্গীতশিল্পী) জে জ্য এবং তার স্ত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী বিয়ন্স।

অন্য দিকে মিয়ামিতে ‘উই শেল ওভারকাম’ (আমরা করবো জয়) শিরোনামের বেসামরিক অধিকারবিষয়ক সঙ্গীত গেয়ে নিজেদের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এখানকার সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ট্রাইভোনের বাবা ট্রেসি মার্টিন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শেতাঙ্গ জিম্যারম্যানের গুলিতে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রাইভোন। তবে পুলিশে চাকরি প্রত্যাশী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী হিসেবে কর্মরত জিম্যারম্যানের দাবি, ট্রাইভোনের হামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতেই তাকে গুলি করেন তিনি।

আইনজীবীরা দাবি করেন, জিম্যারম্যান নিরস্ত্র কিশোর ট্রাইভোনকে অযৌক্তিকভাবে হত্যা করেন।

কিন্তু গত সপ্তাহে জিম্যারম্যানকে নির্দোষ ঘোষণা দিয়ে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর।

এ ঘটনায় মুখ খুলেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। শুক্রবার এক অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘৩৫ বছর আগে আমারও ট্রাইভোনের পরিণতি হতে পারতো। ’ অর্থাৎ ট্রাইভোনের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা আমার সঙ্গেও হতে পারতো।

ওবামা আরও বলেন, এই ঘটনার বিপরীত চিত্রে যদি একজন শেতাঙ্গ কিশোর হত্যাকাণ্ডের শিকার হতো তবে তার ফলাফল-প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারতো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ