ঢাকা: ‘হেই ডলি, চলো সাঁতরে আসি। ’ ঠিক এমন করেই পরস্পরকে নাম ধরে সম্বোধন করে গভীর সাগরের প্রাণী ডলফিন!
গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের মতোই একে অপরকে ‘ডাকনামে’ সম্বোধন করে সমুদ্র জগতের এই প্রাণীরা।
গবেষকরা আরও জানান, স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো পরস্পরকে সম্বোধন করতে এক ধরনের সুরের আশ্রয় নেয়, যেটা শুনতে অনেকটা নামের মতো মনে হয়। যখন নিজের জন্য নির্দিষ্ট সুর শোনে তখন উৎসস্থলে পৌঁছে যায় সম্বোধিত ডলফিনটি।
স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রুস’র একদল গবেষক সমুদ্রের এই রহস্যপ্রাণীর ওপর গবেষণা চালিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
গবেষক দলটির নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক ড. ভিনসেন্ট জনিক বলেন, ‘ডলফিনরা ত্রিমাত্রিক পরিবেশে বেঁচে থাকে, সমুদ্রের গভীরে যেকোনো অপরিচিত জায়গায় তারা চলাচল করে থাকে এবং দলবেধে থাকতে পছন্দ করে। ’
জনিক বলেন, ‘তারা এমন পরিবেশে বাঁচে যেখানে একসঙ্গে থাকার জন্য একটি কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। ’
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরে ধারণা করে আসছিলেন, ডলফিনরা মানুষের মতোই আরেকটি ডলফিনকে ডাকার জন্য স্বতন্ত্র সুর ব্যবহার করে।
কিন্তু স্কটল্যান্ডের গবেষকরা এই প্রথম নিশ্চিত করে জানালেন, সমুদ্রের এই প্রাণীগুলো পরস্পরকে সম্বোধন ও সম্বোধনের জবাব দেওয়ার জন্য নাম ব্যবহার করে থাকে।
প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, দল বেধে চলা অনেকগুলো ডলফিনের স্বতন্ত্র নির্দেশকসূচক শব্দ রেকর্ড করে তারপর এই শব্দগুলো পানিতে স্পিকারের মাধ্যমে বাজিয়ে দেখা যায় প্রত্যেকটি ডলফিনই তার স্বতন্ত্র সুরের জবাব দিচ্ছে!
গবেষকরা জানান, ডলফিনরা ঠিক মানুষের মতোই আচরণ করে যখন তারা তাদের নিজেদের নাম শুনতে পায় এবং জবাব দেয়।
অধ্যাপক জনিক বলেন, ‘এই অবিশ্বাস্য দক্ষতা সম্ভবত বিশাল জলরাশিতে একসঙ্গে থাকার জন্য রপ্ত করেছে সাগরতলের এই বিশালাকারের প্রাণীগুলো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com