এথেন্স: গ্রিসে বৃহস্পতিবার সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা। বেসরকারি খাতের অবসরভাতা পদ্ধতি সংস্কারের পক্ষে বিল পাস হওয়ায় এর প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এদিকে, সমাজতান্ত্রিক প্রতিনিধিরাসহ স্বতন্ত্র দুই জন বুধবার এই বিলে সমর্থন দেন। তারা মনে করেন, দেশকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে টেনে বের করার জন্য গত মে মাসে সরকারের নেওয়া এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ পাটাতন।
নতুন এ নিয়ম অনুযায়ী, অবসরভাতা দেওয়ার সময়সীমা ৪০ বছর করা হয়েছে। এর আগে, এই সময়সীমা ছিলো ৩৭ বছর। কিন্তু, দেশের কমিউনিস্টসহ ডানপন্থী ও অতি-বামপন্থী দলগুলো এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ইউনিয়নগুলো একযোগে এ বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘটের ডেকেছে। গ্রিনিচ সময় ০৭০০টা থেকে শুরু হয়ে এ ধর্মঘট চার ঘণ্টা চলবে।
এদিকে, গ্রিসের পার্লামেন্টের স্পিকার ফিলিপ্পস পেটসালনিকস জানান, বুধবার এ বিষয়ে নীতিগত ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় সমগ্র প্যাকেজের ওপর ভোট নেওয়া হবে।
বিদ্যমান অবসরভাতা পদ্ধতি অব্যাহত রাখা ও এটার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য এই বিলের ওপর জোর দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জ প্যাপানড্রেউ। একইসঙ্গে, বুধবার গ্রিসের অর্থমন্ত্রী জর্জ পাপাকনস্টানটিনাউ পার্লামেন্টের একটি কমিটিকে জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরকালীন বয়স নিয়ে একই ধরনের আরেকটি বিল পরের সপ্তাহে পার্লামেন্টের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, ধর্মঘটের কারণে কয়েক ডজন ফাইট বাতিলসহ অন্যান্য পরিবহন ও সরকারি বিভিন্ন সেবাও বন্ধ থাকবে।
এই সংস্কার গ্রিসকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে দেশটির কর্মসংস্থান মন্ত্রী অ্যান্ড্রিয়াস লাভারডস ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তুহবিল (আইএমএফ) গ্রিসের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ হাজার কোটি ইউরো অনুদান দেয়। এই অনুদানের শর্ত হিসেবে অবসরভাতা পদ্ধতির সংস্কার প্রস্তাব করা হয় গ্রিসকে। গত মে মাসে গ্রিস এই শর্ত মেনে নেয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১০