ইয়নপিয়ং আইল্যান্ড: উত্তর কোরিয়া সোমবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের জানিয়েছে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার প্রতিবাদে আর কোনো পাল্টা হামলা চালাবে না। এরই প্রেক্ষিতে দুই অঞ্চলের মধ্যে দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকা সংকটের অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান, রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ-কে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পৃথিবীকে জানানো উচিত কে সত্যিকারের শান্তি চায় আর কে যুদ্ধ চায়। ’
সাম্যবাদী এই রাষ্ট্রটি আরও জানায়, ‘প্রতিটি তুচ্ছ সামরিক হামলার বিরুদ্ধে তারা পাল্টা আক্রমণ করার প্রয়োজন মনে করছে না। ’
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, দণি কোরিয়া সোমবারের মহড়ার প্রতিবাদে আর কোনো হামলা করবে না জেনে তিনি ‘খুবই আশস্ত’ হয়েছেন।
তবে এই কথায় আশস্ত হতে না পেরে দক্ষিণ কোরিয়া মঙ্গলবার তাদের সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা পাহারায় বসিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম কন-জিন বলেন, ‘১৯৫০-৫৩ সালে সংঘটিত কোরিয়ার যুদ্ধ ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সংকট। তাই উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলার প্রতিরোধ করতে আমরা পিয়নইয়ং দ্বীপে আমাদের সেনা প্রস্তুত রেখেছি। ’
উল্লেখ্য, ১৯৫০-৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধের পর গত ২৩ নভেম্বর বড় ধরনের গোলা বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তর কোরিয়ার গোলার আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নৌ সেনা ও দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এরপর থেকে দুই কোরিয়াসহ পুরো অঞ্চলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া গোলন্দাজ বাহিনীর উন্মুক্ত মহড়া শুরু করলেও উত্তর কোরিয়ার পাল্টা হামলার আশঙ্কায় তা এক ঘন্টার মধ্যে শেষ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, ২১ ডিসেম্বর ২০১০