নয়াদিল্লি: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ মঙ্গলবার ভারত পৌঁছেছেন। ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রেসিডেন্ট পরমাণু ও সামরিক চুক্তির ওপর অধিক জোর দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আফসির করিম বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাশিয়ানরা অস্বস্তি বোধ করছে এবং মস্কো কেন আমাদের নিয়মিত সামরিক সুবিধা দেবে এ বিষয়ে মেদভেদেভ আমাদের আস্থা তৈরির চেষ্টা করছে। ’
মূলত রাশিয়াই ভারতে সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে থাকে। তবে সম্প্রতি ভারত এর সামরিক খাতে ব্যবহৃত যন্ত্রাদির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে এবং এর দাম ও গুণগত মানের ক্ষেত্রেও ক্রমেই নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ফলে বর্তমানে এক্ষেত্রে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিযোগিতাও বেড়ে গেছে।
আর এ প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও’র পর ভারত সফরে এসেছেন মেদভেদেভ।
ভারত সফরে ওই তিন নেতাই দেশটির সঙ্গে কোটি কোটি ডলারের চুক্তি করেছেন। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও সেনা যুদ্ধ বিমান সরবরাহ বিষয়ক চুক্তিসহ পরমাণু শক্তি কেন্দ্র স্থাপনের ওপর জোর দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেদভেদেভ বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তত এবং এ লড়াই যৌক্তিক। ’ সোমবার তার এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার মেদভেদেভ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং পরবর্তীতে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই সফরে যাবেন।
এ সফরে ১২৬টি যুদ্ধ বিমানের জন্য ১২ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার তৈরি মিগ-৩৫ ক্রয়ের জন্য ভারতকে চাপ দিতে পারেন মেদভেদেভ।
একইসঙ্গে যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের উপযোগী যুদ্ধ বিমান নির্মাণের চুক্তিটি চূড়ান্ত করার বিষয়েও আলোচনা করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের এ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ভারতের ৩০০টি বিমান ক্রয়ের পরিকল্পনা আছে।
এ সফরে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের সঙ্গে ২০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করার লক্ষ্যে ১০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছেন মেদভেদেভ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১০