ওয়াশিংটন: প্রাচীন পাখি সদৃশ ডাইনোসরগুলো মাংসাশী বলেই এতদিন ধারণা করা হতো। কিন্তু আদতে তারা তৃণভোজী।
ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে চলতি সংখ্যায় এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
থেরোপোড ডাইনোসরের ৯০টি প্রজাতি বিশেষত কোয়েলুরোসাউর্স গোত্রের পাখি সদৃশ ডাইনোসরগুলো তৃণভোজী ছিল। শিকাগোর ফিল্ড জাদুঘরের লিন্ডসে জ্যান্নো ও পিটার ম্যাকোভিকি পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের সাহায্যে এ তথ্য প্রকাশ করেন।
নতুন এ আবিষ্কার পুরানো ধারণার বিপরীত, যেখানে পাখি সদৃশ থেরোপোড প্রজাতির ডাইনোসরগুলো শিকার করতো বলে কিছু জীবাশ্মবিদ বিশ্বাস করতেন।
জ্যান্নো বলেন, ‘অধিকাংশ থেরোপোড ডাইনোসরই শিকারী ছিলো, তবে এগুলোর মধ্যে পাখি সদৃশ কিছু ডাইনোসর শিকারের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম। ’
জ্যান্নো ও ম্যাকোভিকি প্রায় দুই ডজন অঙ্গব্যবচ্ছেদের ফলাফল পরীক্ষা করেছেন এবং দাঁতহীনতা ও লম্বা গলার কারণে কোয়েলুরোসাউর্স গোত্রের ডাইনোসরগুলো তৃণভোজী বলে প্রমাণ পেয়েছেন।
জ্যান্নো বলেন, ‘থেরোপোড প্রজাতির ডাইনোসরগুলোর মধ্যে আর কোনোটির একই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে কিনা তা পরীক্ষার পরই জানা যাবে কোনগুলো তৃণভোজী ছিলো এবং কোনগুলো নয়। ’
বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন ছয়টি প্রধান ভাগে বিভক্ত ৪৪টি থেরোপোড প্রজাতির ডাইনোসর তৃণভোজী ছিলো এবং পাখাওয়ালা ডাইনোসরের পূর্বপুরুষসহ বর্তমান যুগের পাখিগুলো সাড়ে ১৪ কোটি থেকে সাড়ে ৬ কোটি বছর আগেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়।
এ সময়কালে তৃণভোজী ডাইনোসরের এত বিস্তৃত সংখ্যার কারণে এখন টি-রেক্সসহ অন্যান্য মাংসাশী ডাইনোসরের দিকেও নতুন করে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। এ বিষয়ে জ্যান্নো বলেন, ‘এসব প্রাণীগুলোকে নতুন বিবর্তন প্রক্রিয়ার পরিস্থিতিতে নতুন করে আবিষ্কারের এখনই উপযুক্ত সময়। ’
গবেষকদের ধারণা, বৃহৎ শিকারী প্রাণী এবং তাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠী আগেকার সর্বভুক প্রজন্ম থেকেই বিকশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩২৮ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১০