ওয়াশিংটন: পাকিস্তানি সীমান্তের আইন-শৃঙ্খলাহীন আদিবাসী এলাকায় হামলার মাত্রা বাড়াতে চায় আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ সেনা কমান্ডাররা।
বিশেষ বাহিনীর সহায়তায় তারা এ হামলা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে সোমবার নিউইয়র্ক টাইমস জানায়।
জঙ্গিবাদ দমনে পাকিস্তানের প্রচেষ্টা ক্রমেই হতাশ করছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই কর্মকর্তারা পরমাণু শক্তিধর দেশটিতে সেনা তৎপরতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। টাইমসের ওয়েবসাইট এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এরইমধ্যে পাকিস্তানে গুপ্তহত্যা এবং ড্রোন (চালকবিহনী বিমান) হামলা সীমাবদ্ধ করার বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছে। তবে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ুব্ধ করেছে।
এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমাবদ্ধ হামলারও ুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানের জনগণ ও কর্মকর্তারা। কিন্ত রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা নীরবে এসব পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে সম্প্রতি উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোপন নথি সূত্রে জানা যায়।
তবে বিশেষ এ অভিযানের জন্য করা পরিকল্পনা এখনও অনুমোদিত হয়নি বলে সেনা কমান্ডার জানান। এর মধ্য দিয়ে গোয়েন্দাদের সহায়তায় জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে আফগানিস্তানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে গোয়েন্দাদের ভবিষ্যৎ অভিযানের সুবিধার জন্য তারা তালেবান বা হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গি নেতাদের হত্যা করার পরিবর্তে শুধু আটক করবে বলে মার্কিন কর্মকর্তা জানান।
মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত। ’
এদিকে, এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হোসেইন হাক্কানি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান জঙ্গি দমনে পুরোপুরি সক্ষম এবং কোনো বিদেশি বাহিনীকে দেশের সার্বভৌম এলাকায় অভিযান চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। ’
এর আগে গত সপ্তাহে পাকিস্তান ও আফগনিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা মাইক মুলেন। তবে এসময় পাকিস্তানে সেনা অভিযান বাড়ানোর বিষয়ে তিনি কোনো আলোচনা করেননি বলে হাক্কানি জানান।
এদিকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মুসলিম জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই এ এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২১ জন সামরিক ও আধা সামরিক সেনা সদস্য নিহত ও ৭ হাজার ১৯৫ জন আহত হয়েছেন বলে পাকিস্তান সূত্রে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১০